পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২9• ) সালে দ্বিতীয় ভাগ রচিত ও প্রকাশিত হয়। এই সুবৃহৎ গ্রন্থদ্বয়ের মূল ও উপক্রমণিকা অংশে ভারতীয় পুরাতত্ত্বের নানাবিধ জটিল-তথ্যের আলোচনা ও মীমাংসা রহিয়াছে। এই গ্রন্থ রচনা করিয়া অক্ষয়কুমার অক্ষন্ম-যশঃ লাভ করিয়া বল্প-সাহিত্যে অমরতা লাভ করিয়াছেন॥ অথচ, এই গ্রন্থ (দ্বিতীয় ভাগ ) যখন রচিত হয়, তখন অক্ষয়চত্রের শরীর ও মনের কিরুপ। দুরবস্থা তাহ—'উপাসকসম্প্রদায়ের রচনা-কার্য-নামক প্রবন্ধে স্থাহার স্বলিখিত বিবরণ হইতে পরিচয় পাইবেন। বলিতে কি, প্তাহার অদম্য জ্ঞানলিঙ্গা এবং অসাধারণ ক্ষমতা ও প্রতিভার পরিচয় পাইয়া মুগ্ধ হইতে হয়। ১২৮২ সালে ‘ধর্ম-নীতি’ প্রকাশিত হয়। অক্ষয়কুমারের মৃত্যুর পর, তাহার স্কনিষ্ঠ পুত্র স্বর্গীয় রজনীনাথ দত্ত মহাশয়ের সম্পাদকতায়, প্রাচীন হিন্দুদিগের সমুদ্র-যাত্রা ও বাণিজবিস্তার’ নামক গ্রন্থখানি প্রকাশিত হয়॥ অক্ষয় কুমারের অধিকাংশ গ্রন্থই প্রথমতঃ ‘তত্ত্ববোধিনীপত্রিকায়’। প্রবন্ধা কারে প্রকাশিত হইয়াছিল। শেষ-জীবন ১২৬২ সালে অক্ষয়কুমার মুচ্ছোরোগে আক্রান্ত হন।; তদবধি কোন গভীর বিষয় অধিকক্ষণ অন্যমনে চিন্তা করিতে অসমর্থ হন। কিন্তু এমন অবস্থাতেও তিনি উপাসকসম্প্রদায়দ্বিতীয় ভাগ রচনা করিয়াছিলেন। দারুণ শিরোরোগে আক্রান্ত হইয়। তিনি মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত সুদীর্ঘ একত্রিশ। বৎসর কাল উৎকট যন্ত্রণা ভোগ করিয়াছিলেন; এই শিরোরোগের প্রকোপে অক্ষয়কুমারের একটি চকু ছোট হইয়া যায়। শেষাবস্থায় অক্ষয়কুমার, কলিকাতার সন্নিকট বালিগ্রামে; স্বকীয় ‘শোভনোদ্যান’ নামক উচ্চ্যান বাটিকায় নির্জনে বাস করিতেন। এই উচ্চান বাটিকাটি তিনি নিজের মনোমত করিয়া গঠিত ও মুসজ্জিত করিয়াছিলেন। প্রহরীভূত জীব জন্ত,