পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য – স্বপ্নদর্শন— বিদ্যা বিষয়ক ৩ সমুদায় শ্রবণ ও দৰ্শন করিয়। আমি বিষাদ-সমুদ্রে নিমগ্ন হইলাম, এবং মনে মনে চিন্তা করিলাম,—এ অসার সংসার স্বভাবতঃ শোক দুঃথেতেই পরিপূর্ণ; যদিও হই একটি সুখময় পুণ্যধাম ছিল, তাহাতে এত বিস্ত্র ঘটিয়াছে। যাহা হউক, আপনার কর্তব্য সাধনে পরামুখ হওয়া উচিত নহে, এই বিবেচনা করিয়া, সন্দুঃথ-নিবারিণী সন্তাপ-নাশিনী বিগ্যাদেবীর পশ্চাদ্বী হইয়া গমন করিতে লাগিলাম। কিযুদ্ধ, র গমনানস্তর একবার পশ্চাৎ অবলোকন করিয়া দেথি, যে সকল রাক্ষস পিশাচের অহিত আচার দৃষ্টি করিয়া আসিলাম, তাহারাই আমার নিকটবর্তী হইয়াছে! বিশেষত:, ‘কাম’ ও ‘পানদোষ’ – এই দুই জন নানাবিধ সুমধুর প্ররোচনা-বাক্য বলিয়া, আমাকে তৎপথ হইতে নিবৃত্ত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। পূর্বে ঘাহাদিগের অতিকুৎসিত বীভৎস আকার দৰ্শন করিয়াছিলাম, এখন। দেখি, তাহারা পরম মনোহর রূপ ধারণ করিয়া আসিয়াছে। কি জানি, তাহারা কি কুমন্ত্রণা দেয়, এই আশঙ্কায় পরমহিতৈষিণী বিতাদেবীর। সমীপবর্তী হইয়া, সবিশেষ সমস্ত নিবেদন করিলাম॥ তৎক্ষণাৎ তিনি। আমাকে অভয় দিয়াধৈর্য্য ও তিতিক্ষা নামে দুই মহাবল পরাক্রান্ত প্রহরীকে আহবান করিয়া কহিলেন,-“তোমরা দুই পার্ষে থাক, কোন। শক্র যেন ইহার নিকটস্থ হইতে না পারে।” এইরূপে আমরা বনপ্রান্তে উপস্থিত হইয়াসম্মথে এক ক্ষুদ্র প্রান্তর দেখিতে পাইলাম। তথন বিষ্ঠা অতি প্রসন্ন-বদনে সুমধুর হাস্ত করিয়া কহিলেন,—“এই ক্ষুদ্র প্রান্তরের শেষে যে মনোহর গিরি দৰ্শন করিতেছ, ঐ তোমার লক্ষিত স্থান; ঐ স্থান প্রাপ্ত হইলেই তুমি চরিতার্থ হইবে এই কথা শুনিয়া আমি পরম-পুলকিতচিত্তে অরণ্য হইতে নিম্ৰান্ত হইয়া,। চিরাকাক্ষিত ফল-প্রত্যাশায় মহোৎসাহ-সহকারে দ্রুতবেগে পদবিক্ষেপ করিতে আরম্ভ করিলাম, এবং অবিলম্বে পৰ্বতসন্নিধানে উপস্থিত হইয়া,