পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ . আমেরিকার নিগ্রো চটপট করে পড়ে ফেল। চোখ থেকে যেন আর জল বের না হয়, এসব মােটেই ভাল না। তুমি ত নিগ্রানী নও, তুমি কাঁদবে কেন? লিঞ্চ করার সময় কি কেউ কাদে? যন্ত্রণায় ছটফট করে। বই পড়ে যন্ত্রণায় ছটফট কর, কিন্তু চোখের জল যেন বের না হয়। আরও একটু দক্ষিণে যদি যাও তবে দেখবে, বৃষ্টির জল বালি টেনে নেয়, কিন্তু আরও একটু দূরে গিয়ে দেখবে, ঐ বালির জল জলস্রোতে পরিণত হয়েছে। বড় বড় গাছ সেই স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। তুমি ছটফট কর, তােমার চোখের জল শুকিয়ে যাক, কিন্তু সেই চোখের জল নদীর মত বয়ে যাক এবং প্রবল স্রোতে লিঞ্চ-শয়তানকে বয়ে নিয়ে যাক সাগরে। শুনেছি শয়তান সাগরে বাঁচে না। লিঞ্চ শয়তান সাগরে গিয়ে মরুক, এটাই তােমার কাছে আমি চাই। আরও শােন ম্যাক, আমার মার কাছ থেকে তার মনিব আমাকে কেড়ে নিয়ে অন্যের কাছে বিক্রি করেছিলেন। আমি কেঁদেছিলাম, কেউ সেই কান্না শশানেনি; একটু সহানুভূতিও দেখায় নি। কে কার জন্য কঁদবে ? কে কাকে সহানুভূতি দেখাবে বল ? এর পর যা বলার কথা এখন বলব না, তুমি আরও পড়, আরও শেখ, এতনী আসছে তার সঙ্গে কথা বল। সে বেশ ভাল কথা বলে। আমি জানি এনতনীকে তুমি ঘৃণা কর, সেও জানে তােমার মনের কথা, কিন্তু কিছুই বলে না। এতনী গাছ থেকে অথবা আকাশ থেকে নেমে আসেনি। সেও তােমার মত নিগ্রো। কিন্তু পার্থক্য আছে অনেক। সে মরতে ভয় করে না। তার চাতুর্য আছে। মনিবের জাতকে অশিক্ষিত এবং বর্বর বলা সকলের পক্ষে শােভা পায় না, এন্তনী কিন্তু তাই বলে। যারা বলতে পারে তারাই বলে।