পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১২৫ প্রত্যক্ষ ঘরে বসে আছেন, আমি হটু করে, কি বলে যাই। লােকগুলাের মনের ভেতর সে-রকম শ্রদ্ধা নেই, তাই অমনি ফস্ করে ঠাকুর-ঘরে গিয়ে বসল। জিনিষটার গুরুত্ব বােঝে ।” অনেক অনুনয়ের পর, শেষ কয়েক বৎসর, ঠাকুরের তিথি-পূজার দিন, ব্রহ্মানন্দ অতি সংযতভাবে, বালকের ন্যায় বিনীত হইয়া, ঠাকুর-ঘরে ঢুকিয়া চামর দুলাইত এবং মিনিট কয়েক থাকিয়াই চলিয়া আসিত। বাহির হইবার সময় তাহার মুখের ভাব সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হইয়া যাইত। দেহী অবস্থায় শ্রীরামকৃষ্ণদেবের নিকট যাইবার সময় যেমন তাহার মুখের ভাব হইত, ঠিক সেই ভাবটী তখন ব্রহ্মানন্দের মুখে ফুটিয়া উঠিত। ইহাকেই বলে ঈশ্বর-সান্নিধ্য জ্ঞান। শিষ্যদের আহার্য্যাদি আনা | বেলুড় মঠে, একদিন দুপুরবেলা, ব্রহ্মানন্দ সকলের সহিত খাইতে বসিয়াছে, শিষ্যেরা সম্মুখে অনেক আহার্যাদি আনিয়া, সাজাইয়া দিয়াছে। সে এই সকল জিনিষপত্র দেখিয়া আক্ষেপ করিয়া বলিতে লাগিল, “জোয়ান বয়সে যখন খাবার ক্ষমতা ছিল, তখন না খেতে পেয়ে উপােস করে বেড়িয়েছি, খাবার তখন জুটলাে না; আর, যখন খাবার ক্ষমতা চলে গেল, তখন খাবার আসতে লাগলাে। আমার কপালই যে এইরকম!” আমি তখন খাইতেছিলাম, এই কথা শুনিয়া আমার মনে বড় কষ্ট হইল। ভাবিলাম যে কথাটি বড়ই সত্য, রাখাল যৌবন