পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রূপসী বোম্বেটে

মধ্যে নামিতে দিও না। খনির ভিতরের অবস্থা যেন কেহ জানিতে না পারে।”

 মর্টন বলিল, “সেজন্য তোমার চিন্তা নাই। খনির অবস্থা জানাইয়া আমি কর্ত্রীকে টেলিগ্রাম করিব?

 পিয়ারসন বলিল, “আমি কালই রাষ্ট করিব, এ খনিতে আর সোনা নাই; খনির কাজে খরচ বিস্তর, কিন্তু যে পরিমাণ সোনা উঠিতেছে তাহাতে খরচা পোযাইতেছে না। তুমি মিসেস্‌ কার্টারকে তাঁহার সদর ষ্টেসন হইতে এখানে আসিবার জন্য টেলিগ্রাম কর। তবে যদি তিনি ভাগ্য-পরীক্ষার জন্য কারও কাছে টাকা কর্জ্জ করেন, আর সেই টাকায় নূতন উৎসাহে খনির কাজ চালাইতে চাহেন, তাহা হইলে কিরূপ দাঁড়াইবে বলিতে পারি না।”

 মর্টন বলিল,“তাহাতেই বা ভয় কি? আমি জানি মিঃ কার্টার মৃত্যুর পূর্ব্বে তাঁহার স্ত্রীকে বলিয়াছিলেন, জিগ্‌স খনির মত খনি এ অঞ্চলে দ্বিতীয় নাই; সুতরাং তিনি সহজে ইহা হাতছাড়া করিতে চাহিবেন না। আমি তাঁহাকে বুঝাইয়া দিব কোন উপায়ে টাকা কর্জ করিয়াও নূতন নূতন যন্ত্রের সাহায্যে ইহার কাজ চালানো উচিত। কারণ কোন। গভীরতর স্তরে প্রচুর স্বর্ণ থাকাই সম্ভব, তাহা খনন করা অত্যন্ত ব্যয়সাধ্য ব্যাপার। আমার কথা তিনি অবিশ্বাস করিবেন না। খনির কাজে আমি কিরূপ অভিজ্ঞ, তাহা তিনি জানেন। তিনি অর্থাভাবে ‘জিগ্‌স’ বন্ধক রাখিয়া টাকা কর্জ্জ লইবেন; নূতন নূতন যন্ত্র আসিবে, খনির কাজও আরম্ভ হইবে, কিন্তু ঐ পর্যন্ত! কেবল তাহাকে সর্বস্বান্ত হইতে হইবে, হাতেরও যাইবে, পাতেরও যাইবে। আমি তাঁহাকে যে ভাবে চালাইব, তিনি সেই ভাবেই চলিবেন।”

 পিয়ারসন বলিল, “যে কাজে হাত দিয়াছি, তাহা নির্ব্বিঘ্নে সুস-