পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম পরিচ্ছেদ
৪৭

 সেক্রেটারী কর্টেজ বলিল, “ধনাগারের নির্ন্মাণ-কার্য যাহাতে শীঘ্র শেষ হয়, আমি তাহার চেষ্টা করিতেছি। আমি কন্‌ট্রাক্টরকে তাগিদ দিয়াছিলাম; সে বলিয়াছে এই সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শেষ হইবে।”

 পিয়ারসন বলিলেন, “উত্তম। আজ সন্ধ্যার পর আমি মন্ত্রণাসভার সদস্যগণকে আহ্বান করিব। সৈন্যগণের অনেক দিনের বেতন বাকি পড়িয়াছে, আপাততঃ তাহাদিগকে ছয় মাসের বেতন দেওয়া হইবে; এবং তাহাদের বেতন বৃদ্ধি করা যাইবে কি না সে সম্বন্ধে সদস্যগণের সহিত মন্ত্রণা করা আবশ্যক। তুমি সদস্যগণকে রাত্রি আটটার সময় সভায় যোগদান করিবার জন্য নোটীস্‌ দিবে, আর তুমিও সভায় উপস্থিত থাকিবে।—এখন তুমি যাইতে পার।”

 রাত্রি আটটার সময় মন্ত্রণা-সভার সদস্যগণ সভাগৃহে সমবেত হইলেন। সভাপতি সৈন্যগণের বেতন বৃদ্ধির যে প্রস্তাব কমিলন, তাহা সর্ব্ব-সম্মতি ক্রমে গৃহীত হইল।

 সভার কার্য্য শেষ হইলে প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসন প্রফুল্ল চিত্তে তাঁহার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করিলেন; সেই কক্ষের পার্শ্বস্থিত কক্ষে স্বর্ণ-মূদ্রা গুলি সংরক্ষিত হইয়াছিল।—পিয়ারসন একবার সেই কক্ষে গমন করিয়া রক্ষী-সৈন্যগণের অধিনায়ক কাপ্টেন এলামেডাকে দুই একটি উপদেশ দিয়া স্বর্ণমুদ্রাপূর্ণ কাষ্ঠ-নির্ম্মিত আধারগুলি পরীক্ষা করিলেন, তাহার পর শয়নকক্ষে প্রত্যাগমন পূর্ব্বক সুকোমল শুভ্র শয্যায় শ্রান্ত দেহ প্রসারিত করিলেন।—রাত্রি বারটার সময় রক্ষী পরিবর্ত্তনের কথা; তৎপূর্ব্বেই তিনি গাঢ় নিদ্রায় অভিভূত হইলেন।

 সেইদিন সন্ধ্যাকালে রাজধানী হইতে প্রায় পনের মাইল দূরে