পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
রূপসী বোম্বেটে

লেন না; অনেকক্ষণ পরে তিনি বলিলেন, “তুমি রাক্ষসী হইতে পার, পিশাচী হইতে পার,—কিন্তু আমার নিকট তুমি দেবী। ভগবান পতিতের উদ্ধার কর্ত্তা, তিনি অনাথের নিরাশ্রয়ের রক্ষক। তাঁহার কৃপাতেই তোমার দুর্ম্মতি দূর হইয়াছে। তুমি আমার জন্য যাহা করিয়াছ, তাহার উপযুক্ত পুরস্কার মানুষে দিতে পারে না, পরমেশ্বরই তোমাকে পুরস্কার দিবেন। তবে আমার যাহা সাধ্য, তোমার জন্য অবশ্যই তাহা করিব।”।

 যুবতী বলিল, “না মহাশয়! আমি আপনার নিকট কোনও পুরস্কারের প্রার্থনা করি না; আমার অর্থের আকাঙ্ক্ষা নাই, কারণ আমার প্রচুর অর্থ আছে।আপনি দুর্ব্বল, আর অধিক কথা কহিবেন না; তবে একটা কথা জানিতে চাই,—এ দেশে আপনার কোনও আত্মীয় বন্ধু আছেন?—আমি-”

 যুবতীর কথা শেষ হইবার পূর্ব্বেই রুদ্ধদ্বারে কে করাঘাত করিল, সঙ্গে সঙ্গে বহির্ভাগে কুকুরের চীৎকার হইল। যুবতী তাড়াতাড়ী, উঠিয়া একটা পিস্তল লইয়া বাহিরে যাইবার উদ্যোগ করিতেছে, দেখিয়া মিঃ ব্লেক ব্যগ্র ভাবে বলিলেন, “গুলি করিও না। স্বরে বুঝিয়াছি, এ কুকুর আমার ও আমার বন্ধুরা বোধ হয় এখানে আমার সন্ধানে আসিতেছেন।”

 যুবতী পিস্তল নামাইয়া দ্বার খুলিয়া বাহিরে গেল; দুইজন ভদ্রলোক টাইগারের পশ্চাতে সেই কক্ষে প্রবেশ করিলেন। ইহাদের একজন কাপ্তেন পেণ্টল্যাণ্ড, অন্যজন তাঁহার জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার ম্যাকে।

 টাইগার সেই কক্ষে প্রবেশ করিয়াই এক লম্ফে মিঃ ব্লেকের শয্যাপ্রান্তে উপস্থিত হইল; এবং আগ্রহপূর্ণ দৃষ্টিতে তাঁহার মুখের দিকে