পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ
১১১

চাহিয়া লেজ নাড়িতে লাগিল।—টাইগারের প্রভুভক্তি সকলেরই হৃদয় স্পর্শ করিল॥

 কাপ্তেন বলিলেন, “পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ,—অনেক কষ্টে আপনাকে খুঁজিয়া বাহির করিয়াছি। আপনার এই কুকুর সঙ্গে লইয়া ম্যাকে ও আমি আজ দুই দিন ধরিয়া আপনাকে কোথায় না খুঁজিয়াছি! আপনি কি পীড়িত ছিলেন? কি অসুখ? অসুখ গুরুতর নহে ত?”।

 মিঃ ব্লেক মৃদু হাস্যে বলিলেন, “একজন লোক আমার কাঁধে একখানা ছুরি বিধাইয়া দিয়াছিল; এমন জখম হইয়াছিলাম যে—বাঁচিবার আশা ছিল না। কিন্তু পরমেশ্বরের ইচ্ছা নহে যে, হঠাৎ আমি এখানে মারা যাই।”

 কাপ্তেন সবিস্ময়ে বলিলেন, “কি সর্ব্বনাশ! আপনি কোন সাহসে এই সকল বদ্‌মায়েসের আড্ডায় আসিয়াছিলেন? আপনি যে বাঁচিয়াছেন, ইহাই আশ্চর্য্য! এমন কদর্য্য স্থানে একাকী বেড়াইলে কোন্ দিন আপনার প্রাণ যাইবে।”

 মিঃ ব্লেক বলিলেন, “প্রাণ ত প্রায় গিয়াছিল; ছুরিকাঘাতে আমি অজ্ঞান হইয়া পড়িলে সদাশয়া মহিলাটি আমাকে এই কুটীরে আনিয়া সেবা-শুশ্রুষা দ্বারা আমার প্রাণরক্ষা করিয়াছেন। এখন তোমরা আমাকৈ গোপনে এখান হইতে বাহির করিয়া লইয়া যাইতে পারিবে? যাহারা আমাকে হত্যা করিবার চেষ্টা করিয়াছিল, আমি যে বাঁচিয়াছি, ইহাতাহাদিগকে জানিতে দেওয়া হইবে না।”

 কাপ্তেন বলিলেন, “এ আর কঠিন কাজ কি? আপনাকে এখান হইতে গোপনেই লইয়া যাইব। আমি একখানি গাড়ী আনিতেছি, সেই গাড়ীতে আপনি হোটেলে চলুন। একটা ঝুঁটা দাড়ি পরিলে