তীর্থরেণু/মল্লদেব

উইকিসংকলন থেকে
মল্লদেব

(একটি ফরাসী গাথার অনুসরণে)

যুদ্ধে গেছেন মল্লদেব!
ঝনন্‌-ঝন্! ঝনন্‌-ঝন্! ঝনন্‌-ঝন্!
কবে ফিরিবেন জানি নে গো,
কবে হ’বে তাঁর শুভাগমন!

ফিরে আসিবেন ফাল্গুনে,
রণন্‌-রন্! রণন্‌-রন্! রণন্‌-রন্!
সাধের ফাগুয়া-উৎসবে,—
যবে আনন্দে দেশ মগন।

ফান এল, ফুরাল গো,
রণ্‌-রণন্‌! রণ্‌-রণন্‌! রণ্‌-রণন্‌!
ফিরে না এলেন মল্লদেব,
জানি কোথায় হায় সেজন!

রাণী উঠিলেন দুর্গেতে;
রণ্‌-রণন্‌! রণ্‌-রণন্‌!! রণ্‌-রণন্‌!
দুর্গম সেই দুর্গ-চূড়া,—
পুষ্প-পেলব তাঁর চরণ।

দূরে দেখিলেন সৈনিকে!
ঝন্‌-রণন্‌! ঝন্-রণন্‌! ঝন্‌-রণন্‌!
মলিন তাহার মূর্ত্তি গো!
অশ্ব তাহার ধীর গমন!

‘ওরে বাছা! ওরে ঘোড়-সওয়ার!
ঝন্-রণন্‌! ঝন্‌-রণন্‌! ঝন্-রণন্‌!
কোন্ সমাচার আন্‌লি তুই?
বল্ আমায়,—বল্ এখন।’

‘এম্‌নি খবর আমার গো,—
ঝন্‌-ঝনন্! ঝন্‌-ঝনন্! ঝন্‌-ঝনন্!
ভর্‌বে জলে ভাস্‌বে গো
প্রফুল্ল ওই দুই নয়ন।

‘রঙীন বসন ছাড়বে গো!
ঝন্‌-রণন্‌! ঝন্-রণন্‌! ঝন্-রণন্‌!
হাতের কাঁকণ কাড়্‌বে গো!
ছাড়্‌বে গো সব ভূষণ।

‘স্বর্গে গেছেন মল্লদেব;
ঝনন্‌-রন্! ঝনন্‌-রন্! ঝনন্‌-রন্!
ক’রে এলাম ভস্মশেষ,
চিহ্নমাত্র নাই এখন!—নাই এখন!’