পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
আখ্যানমঞ্জরী।

কৃতজ্ঞতাশৃঙ্খলে বদ্ধ আছি। তাঁহার প্রতি কৃতজ্ঞতাপ্রদর্শন না করিলে, আমি ভদ্রসমাজে হেয় ও অশ্রদ্ধেয়, এবং ধর্ম্মদ্বারে পতিত হইব, কেবল এই ভয়ে ও এই বিবেচনায়, অবসর পাইয়া, তাঁহার প্রতি যথাশক্তি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শনে প্রবৃত্ত হইযাছি।

 তদীয় প্রশংসনীয উত্তরবাক্য শ্রবণে, নিরতিশ্য় প্রীত ও প্রসন্ন হইযা, ইংলণ্ডেশ্বব, স্বভাবসিদ্ধ ঔদ্ধত্যভাব বিসর্জ্জন দিয়া, তৎক্ষণাৎ সিংহাসন হইতে অবতীর্ণ হইলেন, এবং নিকটে গিয়া আন্তরিক অনুরাগ সহকারে, তাঁহার করগ্রহণ পূর্ব্বক বলিলেন, এরূপ কৃতজ্ঞতার যথোচিত পুরস্কার হওয়া সর্ব্বতোভাবে উচিত ও আবশ্যক। তুমি সর্ব্বাংশে প্রশংসনীয়, প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তি। আজ অবধি, তুমি একজন রাজকর্মচারী নিযুক্ত হইলে, আমার আর যে সকল কৰ্মচারী নিযুক্ত আছেন, কৃতজ্ঞতা কাহাকে বলে, তাঁহাদের মধ্যে অনেকেই তাহা অবগত নহেন, তোমায তাঁহাদিগকে কৃতজ্ঞতা শিখাইতে হইবে। বলিতে কি, তোমার অদৃষ্টচর আচরণ দর্শনে ও অশ্রুতচর বচন শ্রবণে, চমৎকৃত ও আহলাদে পুলকিত হইয়াছি।

 এইরূপে, স্বীয় আন্তরিক ভাবপ্রকাশ করিয়া, ইংলণ্ডেশ্বর, সেই মুহূর্ত্তে, সেই ক্ষেত্রে, ফিটজ্ উই-