পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৩
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৩৩

নব্য অসায়নী বিদ্যা অমুলক প্রতিপন্ন হইয়া পড়ে তখন আর সত্য বলিয়া আদরণীয় হয় না। যেমন সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ সম্বন্ধে সাধারণতঃ ধারণা ছিল যে গ্রহণের সময় সূর্য ও চন্দ্রকে রাহু গ্রাস করিতে উদ্যত হয় এবং ভূমি কম্প সম্বন্ধে ও এ দেশে সাধারণ লােকের বিশ্বাস ছিল যে অনন্তনাগ পৃথিবীর ভার বহনে ক্লান্ত হইয়া মধ্যে মধ্যে মাথা নাড়া দিলেই ভূমিকম্প উপ- স্থিত হয়। কিন্তু বর্তমান সভ্য জগতে বিজ্ঞান শাস্ত্রের নিত্য নূতন তত্ত্ব আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে ঐ সকল অমূলক ধারণা তিরােহিত হইতেছে। এখন শিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রেই বেশ জানেন যে চন্দ্র পৃথিবীর চারিদিকে ঘূরিতে ঘুরিতে সূর্য ও পৃথিবীর ঠিক মধ্যবর্তী হইলে অর্থাৎ চন্দ্রের ছায়া সূর্যের উপর পড়িলে সূর্যগ্রহণ হয় এবং চন্দ্র সরিয়া যাইলেই গ্রহণের মােক্ষ হয়। এখন আর গ্রহণ কালীন চন্দ্র ও সূর্যকে রাহগ্রস্ত বলিয়া কেহ বিশ্বাস করে না। রাসায়নিক ক্রিয়া সম্বন্ধেও পূর্বোক্ত গবেষণা দ্বারা বিশেষরূপে প্রতিপন্ন হইয়াছে যে নির্দিষ্টানুপাতিক নিয়মটী নব্য বসায়ণের ভিত্তিমূলে দৃঢ়রূপে নিহিত রহিয়াছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পাতিক নিয়মের কদাচ উন্বজন হইতে পারে না। কবির বাক্য এই স্থলে প্রয়ােগ করা যায়। রেখা মাত্ৰমপি *** ন ব্যতীয়ু নিয়ন্তনে নিবৃত্তরঃ। এখন আমাদের আয়ুর্বেদ মতে প্রস্তুত কতিপয় “কবিরাজী ঔষধ পরীক্ষা করিয়া দেখা যাক। যথা কলী, স্বর্ণসিন্দুর ও মকরধ্বজ । পারদ ও গন্ধক সংযােগে হিল প্রস্তুত হয়। এই হিল বিশ্লেষণ করিলে দেখা যায় যে ইহা ২৫ ভাগ পারদ ও দুই ভাগ গন্ধ এই দুই উপাদান হইতে প্রস্তুত অর্থাৎ ২৭ রতি হিন্দুলে ২৫ রতি পারদ ও ২ রতি গন্ধক বিদ্যমান থাকে। এই অনুপাতের কুত্রাপি ব্যতিক্রম হয় না। পাঠক এখন বুঝিবেন যে কেন চক্রপাণি মতে প্রস্তুত ক