পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪১
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৪১

নব্য সায়ন বিদ্য ১১ গন্ধক, পরে প্রকৃত কড্ডলী উৰ্দ্ধগামী হয়। তবে প্রভেদ এই যে কৃষ্ণ- বর্ণ ধুলিবৎ কজ্জ্বলী উৰ্দ্ধগামী হইলে রক্তাভ দানার আকারে পরিণত হয়। কিন্তু উভয়ের রাসায়নিক গঠন বা স্বরূপ একই প্রকার তাহাতে কোন প্রভেদ নাই। এখন দুই একটা কথা বলিয়া এই প্রস্তাবের উপসংহার করা যাইবে। আমরা বুঝিতেছি পাঠকগণ উৎকণ্ঠিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিবেন। হিঙ্গুল, সিন্দুর চীনের সিন্দুর ও মকরধৱজে তবে প্রভেদ কি? মকরধ্বজ না স্বর্ণঘটিত ? বাস্তবিক মকরধ্বজ প্রস্তুত করিতে হইলে আমাদের কবিরাজ মহাশয়গণ রসেন্ট্রচিন্তামণি লিখিত প্রক্রিয়া অনু- যায়ী কজ্জলীর সহিত সূক্ষ্ম সােণার পাত “খাওয়াইয়া থাকেন। আমরা সেন্ট্রচিন্তামণিকারের মুখ দিয়াই এই প্রশ্নের উত্তর দিব। পারার সহিত রাং হউক আর সীসা হউক, বা সােনা রূপা প্রভৃতি যে কোন ধাতুই খাওয়াও না কেন, উৰ্দ্ধতন করিবার সময় এই সকল ধাতু নিম্নে পড়িয়া থাকে ( ৩৮-৩৯ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।) তবে যদি কেহ জিদ করেন যে যখন একবার সোণার সহিত “ছােয়ান” হই- আছে তখন “স্বর্ণঘটিত বলিলে দোষ কি ? রাসায়নিক এখন “নাচার।” যদি মকরধ্বজে সোণা না থাকিয়াও সােণার গুণ অশে” এপ্রকার কাহারও বিশ্বাস হয়, হউক; তবে তাঁহাকে সপ্তম অধ্যায় অভিনিবেশ পূৰ্ব্বক পাঠ করিতে অনুরােধ করি।

  • পুৰ্বোল্লিখিত ‘নির্দিষ্টানুপাতিক নিয়ম" অপরিজ্ঞাত থাকায় এই সংস্কার বদ্ধমুল,

হইয়াছিল যে যত গন্ধক খাওয়ান যাইবে ততই পারদের গুণ উত্তরােত্তর বন্ধিত হইবে। নিত্যনাথ সিদ্ধকৃত রত্নাকয়ে দেখা যায়- জির্ণেগন্ধে পুনদেয়ং যড়ভিবারৈঃ সমংসম্। যড়গুণে গন্ধকং শীর্ণে মুচ্ছিতত বােগহাভবেৎ। + রসসিন্দু জলদিয়া যতই খলে মাড়া যায় ততই লাল হয়। অতি প্রাচীন কাল হইতে চীনদেশে এই প্রকারে সি দূর বানাইবার প্রথা চলিত আছে।