পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫০
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৫০

নব্য রসায়নী দ্যা বলা লণ্ডনে আলিয়া সর্বাগ্রে ইহার খোঁজ করি, কিন্তু তখন ইনি ফুান্সে ছিলেন। সর্ব প্রথমে রয়াল ইষ্টিটিউশন (The Royal nstita- tion) দেখাইবার নিমিত্ত তিনি আমাকে সঙ্গে লইয়া গেলেন। বাহুল্য, বিজ্ঞানের পীঠস্থানগুলি দশন ও তত্রস্থ উপাসক ও পুরােহিত- দিগের সহিত আলাপ পরিচয় ও চিন্তাবিনিময় করিবার জন্য আমি ইউরােপে আসিয়াছি। বলতে কি, রয়াল ইনষ্টিটিউশনের বাহ্য ও আভ্যন্তরিক দৃশ্য দেখিয়া প্রথমতঃ আমার মনে বড় একটা সম্ভমের উদয় হইল না। আমাদের প্রেসিডেন্সী কলেও ইহা অপেক্ষা বিশাল, এবং মনের মধ্যে শ্রদ্ধার উদ্রেক করে। কিন্তু শীগ্রই মনের ভাব পরি- বত্তিত ৫ইয়া গেল। আমি তীর্থযাত্রী-খন আমার পাণ্ড। অলী- নির্দেশ করিয়া একে একে সমস্ত দেখাইতে লাগিলেন, যখন প্রদর্শন করিয়া বলিলেন, “এই দেখন কাচের আধারের। Glass case) মধ্যে যত্নে সংরক্ষিত যে সমস্ত যন্ত্র রহিয়াছে, দ্বারা ডেবী ও ফারাডে অনেক গুলি যুগান্তরসংঘটনকারী আবিস্ক্রয়া সম্পাদন করিয়াছিলেন", ইত্যাদি -তখন আর ভক্ত প্রকৃতিস্থ থাকিতে পারিলেন না, ভাবে গদ হইয়া পড়িলেন। বাস্তবিক যখন তীর্থযাত্রী ক্ষেত্রে গিয়া জগন্নাথের দর্শন- লাভ করেন, তখন কি মূর্তি কদাকার বলিয়া বিশ্বকৰ্ম্মার নিন্দা করিতে বসেন, না ভক্তিরসে সিক্ত হইয়া অশ্রুধারা বর্ষণ করিতে থাকেন ? বিখ্যাত রাসায়নিক ডাক্তার গল্প যথাথ হ বলিয়াছেন :- “রয়াল ইষ্টিটি সনের রসায়নাগার চিরদিন বৈজ্ঞানিকের ক্ষে পবিত্রভূমি বলিয়া গণিত হইবে। এখানেই ডেবী সেই সকল আবিক্রিয়া করেন, যার জড়বিজ্ঞানে যুগান্তর সংঘটিত হইয়াছে। রসায়ন শাস্ত্রের ভক্তেরা রয়াল ইষ্টিটিউশন্ অপেক্ষা সুরম্য ও সুসজ্জিত বিজ্ঞানমন্দিরে আজ কাল নিজ নিজ কার্যে ব্যাপৃত থাকেন। কিন্তু