পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কথামালা
১৯

গন্ধ পাইয়া, ঝাঁকে ঝাঁকে, মাছি আসিয়া সেই মধু খাইতে লাগিল। যত ক্ষণ এক ফোঁটা মধু পড়িয়া রহিল, তাহারা ঐ স্থান হইতে নড়িল না। অধিক ক্ষণ তথায় থাকাতে, ক্রমে ক্রমে, সমুদয় মাছির পা মধুতে জড়াইয়া গেল; মাছি সকল আর, কোনও মতে, উড়িতে পারিল না; এবং, আর যে উড়িয়া যাইতে পারিবেক, তাহারও প্রত্যাশা রহিল না। তখন তাহারা, আপনাদিগকে ধিক্কার দিয়া, আক্ষেপ করিয়া, কহিতে লাগিল, আমরা কি নির্বোধ; ক্ষণিক সুখের জন্যে, প্রাণ হারাইলাম।

সিংহ ও ইদুর

এক সিংহ, পর্ব্বতের গুহায়, নিদ্রা যাইতেছিল। দৈবাৎ, একটা ইঁদুর, সেই দিক দিয়া যাইতে যাইতে, সিংহের নাসারন্ধ্রে প্রবিষ্ট হইয়া গেল। প্রবিষ্ট হইবা মাত্র, সিংহের নিদ্রাভঙ্গ হইল। পরে, ইঁদুর নির্গত হইলে, সিংহ, ঈষৎ কুপিত হইয়া, নখরের প্রহার দ্বারা, তাহার প্রাণসংহারে