পাতা:বুয়র ইতিহাস - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
২৩

হইতে পারা যায়, তাহাতে ঐ যুদ্ধের কারণ এইমাত্র জানিতে পারা যায় যে, যে সকল স্থান গনিমার রাজত্বের মধ্যে পরিগণিত ছিল, সেই সকল স্থান যথেষ্ট শিকাগোপযোগী জন্তুদ্বারা পরিপূর্ণ থাকিত। ডচ্‌দিগের দুর্গরক্ষক সৈন্য সকল সময় সময় ঐ সকল স্থানে গমন করিয়া, পর্য্যাপ্ত পরিমাণে শিকার সংগ্রহ করিয়া আনিত; সেই সকল শিকারলব্ধ জন্তুগণের মাংসের উপর নির্ভর করিয়া তাহারা অনেক দিবস অতিবাহিত করিত। গনিমা নিজের অধিকৃত জঙ্গলে এইরূপে ক্রমে শিকানোপযোগী জন্তু সকলের হ্রাস হইতে লাগিল দেখিয়া, উহাদিগের উপর বিশিষ্টরূপ অসন্তুষ্ট হন, ও ১৬৭২ খৃষ্টাব্দে রিবিক্‌ কাষ্টিল (Biebeek's Kasteel) নামক স্থানে ঐরূপ কতক্‌গুলি ডচ্‌ শিকারীর, শিকারোপযোগী দ্রব্য সামগ্রী কাড়িয়া লইয়া, তাহাদিগকে সেইস্থান হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দেন।

 পর বৎসর অর্থাৎ—১৬৭৩ খৃষ্টাব্দে ডচ্‌গণ পুনরায় সেই স্থানে শিকার করিতে গমন করেন। সেই সময় গনিমা তাহাদিগের ৮ জন ও একটী পরিচারককে ধৃত করিয়া লইয়া যান, ও তাহাদিগকে কিছু দিবস পর্য্যন্ত আবদ্ধ রাখিয়া, পরিশেষে তাহাদিগের প্রাণবধ করেন। সেই সময় গনিমার একজন কর্মচারী সময় বুঝিয়া সালধানা উপসাগর (Saldane Bay) নামক স্থানের ডচ্‌দিগের ফাঁড়ি গৃহ লুণ্ঠন করিয়া লয় ও চারিজন শ্বেতাঙ্গ কর্ম্মচারীর প্রাণনাশ করে।

 ইহার পরই কতকগুলি ডচ্‌ সৈন্য সেইস্থানের ডচ্‌ অধিবাসিগণের সহিত মিলিত হইয়া গনিমার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করিয়া সেই অসভ্য জাতিকে সম্পূর্ণরূপে পরাজয়পূর্ব্বক তাহাদিগের