পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮৭৭).pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কথামালা।
৪৫

অবশেষে, সে এক মনুষ্যকে নিকটে দেখিয়া কহিল, ভাই! এই হরিণ আমার বড় অপকার করিতেছে, ইহাকে সমুচিত শাস্তি দিতে হইবেক। যদি এ বিষয়ে সাহায্য কর, তাহা হইলে, আমার যথেষ্ট উপকার হয়। তখন মনুষ্য কহিল, ইহার ভাবনা কি। তুমি আমাকে, তোমার মুখে লাগাম দিয়া, পিঠে উঠিতে দাও, তাহা হইলেই, আমি অস্ত্র লইয়া তোমার শত্রু দমন করি। অশ্ব সম্মত হইল। মনুষ্য তৎক্ষণাৎ তাহার পৃষ্ঠে আরোহণ করিল; কিন্তু, হরিণকে দমন করিতে না গিয়া, অশ্বকে আপন আলয়ে লইয়া গেল। তদবধি অশ্বগণ মনুষ্যজাতির বাহন হইল।


নেকড়ে বাঘ ও মেষ

কোনও সময়ে এক নেকড়ে বাঘকে কুকুরে কামড়াইয়াছিল। ঐ কামড়ের ঘা ক্রমে ক্রমে এত বাড়িয়া উঠিল যে, বাঘ আর নড়িতে পারে না। সুতরাং তাহার আহার বন্ধ হইল। এক দিন, সে ক্ষুধায় কাতর হইয়া পড়িয়া আছে, এমন সময়ে এক মেষ