পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮৭৭).pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কথামালা।
৯১

অকর্ম্মণ্য হইয়া গেল; সুতরাং আর যুদ্ধে যাইবার উপযুক্ত রহিল না। তাহা দেখিয়া, অশ্বস্বামী তাহাকে কৃষিকর্ম্মে নিযুক্ত করিয়া দিল।

 এক দিন, বেলা দুই প্রহরের রৌদ্রে, অশ্ব লাঙ্গল বহিতেছে, এমন সময়ে, সেই গর্দ্দভ ঐ স্থানে উপস্থিত হইল, এবং অশ্বের ক্লেশ দেখিয়া, মনে মনে কহিতে লাগিল, আমি অতি মূঢ়, এজন্যে তখন, ইহার সৌভাগ্য দেখিয়া, দুঃখ ও ঈর্ষ্যা করিয়াছিলাম। এক্ষণে ইহার দুর্দশা দেখিয়া, চক্ষে জল আইসে। আর, এও অতি মূঢ়, সৌভাগ্যের সময় গর্ব্বিত হইয়া, অকারণে আমার অপমান করিয়াছিল। তখন জানিত না যে, সৌভাগ্য চিরস্থায়ী নহে। এখন, আমার অপেক্ষাও, ইহার দুর্ভাগ্য অধিক।


অশ্ব ও বৃদ্ধ কৃষক

এক কৃষকের একটি টাটু ঘোড়া ছিল। সে এক দিবস, আপন পুত্রকে সঙ্গে লইয়া, ঐ ঘোড়া বাজারে বিক্রয় করিতে যাইতেছে, এই সময়ে,