পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৫২
নব্য জাপান

একটী কূপ দেখিতে পাওয়া যায়। জাপানীরা প্রাণ ভরিয়া মুক্তবায়ু সেবন করিতে পারিলে বড়ই প্রফুল্ল হয়।


জাপানের শিক্ষা-প্রণালী।

 সুশিক্ষাই সর্ব্ববিধ উন্নতির মূল। কি সাম্রাজ্যের পরিপুষ্টি, কি বাণিজ্যের বিপুলবিস্তার, কি স্বদেশের শ্রীবৃদ্ধিসাধন, কি জ্ঞানের পরিধি প্রসারণ, ইহার কোন একটিও শিক্ষা নিরপেক্ষ নহে। জাপানবাসীরা গত ত্রিংশতি বৎসর মধ্যে শিক্ষাবিষয়ে যে উন্নতিলাভ করিয়াছে, তাহা পৃথিবীর ইতিহাসে অতি অপূর্ব্ব ও সর্ব্বাপেক্ষা বিস্ময় জনক।

 জাপানের শিক্ষার ইতিহাস ১৮৬৮ খৃঃ হইতে আরম্ভ হইয়াছে। ইহার তিন বৎসর পরে গবর্ণমেণ্টের তত্ত্বাবধানে জাপানে “মম্বাসাে” অর্থাৎ শিক্ষাবিভাগ স্থাপিত হয়। ১৮৭২ খৃঃ শিক্ষাসংক্রান্ত কতকগুলি ব্যবস্থা প্রণীত হইয়া শিক্ষাবিভাগে নবযুগের আবির্ভাব হয়।

 এক্ষণে জাপানে চারিশ্রেণীর বিদ্যালয় দৃষ্ট হয়। যথা,— প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য-বিদ্যালয়, উচ্চ-বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়।

 প্রাথমিক বিদ্যালয় জাপানের প্রতি “সান” অর্থাৎ পল্লীগ্রামে দৃষ্ট হয়। ইহাতে ষষ্ঠ বৎসর হইতে চতুর্দ্দশ বর্ষীয়