পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
নাগ পঞ্চমী

পাঠিয়ে দিলেন। ব্রাহ্মণী এত গহনা ও জিনিষ দেখে আশ্চর্য্য হলেন। বড় বৌ ও মেজ বৌয়ের যেন একটু হিংসা হলো। ছোট বউয়ের গা-ভরা গহনা। কিন্তু সর্পাঘাতের ঘা এখনো ভালরূপে শুকোয় নাই, এই জন্যে তিনি বাঁ হাতের ও বাঁ পায়ের বালা ও মল খুলে রেখেছেন। তাই দেখে, ছোট বউকে শুনিয়ে, বড় ও মেজ বউ বলাবলি কোরচেন, আধ-অঙ্গে গহনা পরেই এত ঝম্ ঝম্‌, সর্ব্বাঙ্গে পরলে এ বাড়ীতে তিষ্ঠানো ভার হবে। তাই শুনে, হঠাৎ কোথেকে একটা সাপ এসে ফোঁস করে মাথা তুলে বড় বৌ ও মেজ বৌয়ের দিকে চেয়ে বল্লে,

পরের মন্দে ভাল যে করে,
ভাতে পুতে সে বাড়ে।
পরের ভালোয় মন্দ যে করে,
ভষ্ম হয়ে সে মরে।

সেই দিন থেকে ছোট বউয়ের সঙ্গে বড় বউ ও মেজ বউয়ের ভয়ে ভয়ে খুব ভাব হয়ে গেল।

 কিছু কাল পর, এয়োরাজ ও মুনিরাজ আবার ভগিনীকে তাদের বাড়ীতে নিয়ে যেতে লোক পাঠাইলেন। তখন ছোট বৌয়ের সন্তান সম্ভাবনা। বড় মানুষ কুটুম, আর প্রথম সন্তন পিত্রালয়ে হওয়াই ভাল, এই মনে ক’রে ব্রাহ্মণী বউকে যেতে দিলেন।

 যথা সময়ে ছোট বউয়ের এক পরম সুন্দর পুত্র সন্তান হলো। এয়োরাজ ও মুনিরাজ খুব সমারোহ ক’রে ভাগনের অন্নপ্রাশন দিলেন। ছেলের ভাতের নিমন্ত্রণ পেয়ে ছেলের বাপ, জেঠারা ঠাকুরমা ও জেঠাইরা ছেলের মামা বাড়ী এলেন। সেখানে খুব