পাতা:মহাভারতীয় বৃহৎ ভীষ্মপর্ব্ব - কাশীরাম দাস.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভীষ্মপর্ব।

হরির প্রতিজ্ঞা নাশি প্রতিজ্ঞা রাখিব॥ শুনিয়া হইল হৃষ্ট গান্ধারীতনয়। পিতামহে জিজ্ঞাসিল করিয়া বিনয়। এই যে উভয় সৈন্য একত্র মিলিল। অষ্টাদশ অক্ষৌহিণী গণিত হইল হেন কেহ ধনুর্দ্ধর আছে এ সংসারে। এক রথে এইসৈন্য পারে জিনিবারে॥ ভীষ্ম বলে আমি যদি যুদ্ধে দেই মন। একদিনে দুই সৈন্য করি নিপাতন॥ দ্রোণাচার্য যদ্যপি ধরেন ধনুর্ব্বাণ। তিন দিনে দুই দল করেন সমাধান। কর্ণ যদি প্রাণপণে করয়ে সমর। পাঁচ দিনে দুই সৈন্য লয় যমঘর॥ দ্রোণ পুত্র যদ্যপি সংগ্রামে দেন মন। তিন দণ্ডে দুই দলে নাশে সর্বজন॥ যদ্যপি করয়ে মন ইন্দ্রের কুমার। না লাগে নিমেষ করে সবার সংহার॥ শুনি দুর্য্যোধন রাজা বিস্ময় মানিল। পুনরপি পিতামহে কহিতে লাগিল এমত অর্জন যদি জান মহাশয়। কি প্রকারে হইবেক তাহার বিজয়॥ মহাভারতের কথা অমৃক সমান। কাশীরাম দাসকহে শুনে পুণ্যবান

অথ ভীষ্মদেবের দশ দিন যুদ্ধ করার প্রতিজ্ঞা এবং
অজুনের প্রতি শ্রীকৃষ্ণের যোগ কথন।

 ভীষ্ম কহিলেন শুন কৌরব ঈশ্বর। দশ দিন ভার মম হইল সমর॥ নিজ সৈন্য রক্ষা করি অন্যকে নাশিব। রথি দশ সহ ভ্রকে সংগ্রামে মারিব। অজুন সহিত যুদ্ধ শ্রীহরি সাক্ষাৎ। রথি দশ সহস্রেক করিব নিপাত। শুনি দুর্যোধন হয়ে হরষিত মন। নিজ২ রথে সৈন্য করে আরোহণ॥ দুই দলে যোদ্ধা গণ করে সিংহনাদ। ঢাক ঢোল শঙ্খ বাজে জয় জয় বাদ॥ পাঞ্চজন্য নামে শঙ্খ ভয়ানক ঋনি। দুই করে ধার কৃষ্ণ বাজান আপনি। দেবদত্ত শঙ্খ বাজায়েন ধনঞ্জয়। পৌণ্ড, শঙ্খ বাজায়েন ভীম মহাশয়। ভূপতি বাজান শঙ্খ অনন্ত বিজয়। মণিপুষ্প সহদেব নিনাদ করয়॥ বাজায় সুঘোষশজ্জ নকুল প্রচণ্ড। শুনিয়া বিপক্ষ পক্ষ হয় লণ্ডভণ্ড॥ দুই দলে কোলাহল হইল ভূমূল। দশ দিক যুড়ি শব্দ জন্মিল অতুল! ধনুর্ব্বাণ ধরিয়া বলেন ধনঞ্জয়। নিবেদন শুনহ গোবিন্দ মহা