পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১০৫

যাত্রায় যোগ দিবে। বন্ধন, অন্যায় ও অসাম্যের সঙ্গে যুদ্ধের বিরতি হইতেই পারে না। দেশের সকল স্বাধীনতাকামীরই সংঘবদ্ধ হইয়া স্বাধীনতার সৈনিকশ্রেণী গঠন করিবার সময় আসিয়াছে। ইহারা কেবল স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিবে না। স্বাধীনতার বাণী প্রচার করিবার জন্য দিকে দিকে প্রচারক প্রেরণ করিবে। আপনাদের মধ্য হইতে এই প্রচারক ও সৈন্যদলের সৃষ্টি করিতে হইবে। বিস্তৃত ও অন্তব্যাপী প্রচার ও দেশব্যাপী স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন আমাদের কর্ম্মতালিকার অন্তর্ভুক্ত হইবে। আমাদের প্রচারক চাষী ও কারখানার মজুরদের মধ্যে গিয়া নব বাণীর কথা প্রচার করিবে। তাহার যুবকদের ও তাদের সমস্ত দিকে অনুপ্রাণিত করিবে। দেশের সমগ্র নারীজাতীকে উদ্ব‌ুদ্ধ, করিবে—কারণ আজ নারীকে সমাজে ও রাষ্ট্রে পুরুষের সমান অধিকার লইয়া দাড়াইতে হইবে।...যদি আমরা শ্রমিক, চাষী, তথাকথিত নিম্নজাতি যুবকবৃন্দ, ছাত্রগণ ও নারীদিগকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্ব‌ুদ্ধ করিয়া তুলিতে পারি তবে কংগ্রেস অসীম শক্তিমান হইয়া দেশের মুক্তি আনয়ন করিতে পারিবে।

 স্বাধীনতার কোন সহজ নির্ব্বিঘ্ন পথ নাই। স্বাধীনতার পথে যেমন আঘাত বিপদ আছে তেমনি গৌরব ও অমরত্ব আছে। প্রাচীনের যাহা কিছু শৃঙ্খলের মত আমাদের চলাকে প্রতিপদে প্রতিহত করিয়া আসিতেছে আজ তাহাকে ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া তীর্থযাত্রীর মত দলে দলে স্বাধীনতার লক্ষ্য পথে যাত্রা করিতে হইবে। স্বাধীনতাই জীবন, স্বাধীনতার সন্ধানে জীবন দানে অবিনশ্বর গৌরব।