পাতা:নবীন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবীন
১১

একেবারে বজ্রে-শান-দেওয়া বিদ্যুতের মতো, পুঞ্জ পুঞ্জ কালো মেঘের বক্ষ এক আঘাতে বিদীর্ণ ক’রে আসেন।

হৃদয় আমার ঐ বুঝি তোর
ফাল্গুনী ঢেউ আসে,
বেড়া-ভাঙার মাতন নামে
উদ্দাম উল্লাসে॥
তোমার মোহন এলো সোহন বেশে।
কুয়াসা-ভার গেল ভেসে,
এলো তোমার সাধন ধন
উদার আশ্বাসে॥
অরণ্যে তোর সুর ছিল না
বাতাস হিমে ভরা।
জীর্ণ পাতায় কীর্ণ কানন
পুষ্পবিহীন ধরা।
এবার জাগরে হতাশ আয়রে ছুটে
অবসাদের বাঁধন টুটে,
বুঝি এলো তোমার পথের সাথী
উতল উচ্ছাসে॥

 উৎসবের সোনার কাঠি তোমাকে ছুঁয়েচে, চোখ খুলেচে। এইবার সময় হোলো চারদিক দেখে নেবার। আজ দেখতে পাবে, ঐ শিশু হয়ে এসেচে চির নবীন, কিশলয়ে তা’র ছেলেখেলা জমাবার জন্যে। তার দোসর হয়ে তার সঙ্গে যোগ দিল ঐ