পাতা:সচিত্র রেল অবতার - অনাথবন্ধু সেন.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেশাখোরের ইসারা।

 এই বলে, হারুবাবু সোরাব‍্জীর হোটেলের দিকে দৌড়ুলেন। ম্যানেজারকে দুই বোতল ব্রাণ্ডী বার্ করে দিতে বল্লেন। বোতল দুটো পেয়েই—বোঁ করে গার্ড সাহেবকে দিয়ে এলেন। মেল ট্রেন ছেড়ে দিলে।

 * * * 

 ব্যাপারটি কি, শোন‍্বার জন্য ছোট তারবাবু উদ্গ্রীব হ’য়ে বসে ছিলেন। হারুবাবু ফিরে এলে, জিজ্ঞাসা করলেন— “আচ্ছা মশায়, ব্যাপারটা কি বলুন দেখি? আমিত জানবার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছি!”

 হারুবাবু হাসিয়া বলিলেন—“ওহে তোমরা ছেলে মানুষ, তোমাদের কাছে বল‍্তেও লজ্জা হয়, না বল্লেও, চলে না। তোমরা দু দিন রেলে ঢুকেছ বইত নয়! আমাদের কথার ইসারা জান‍্বে কেমন করে? মধুখুড়ো কস্মিন কালেও পূজো আচ্ছা করে না। তার দরকার হলো কিনা— গঙ্গাজল!—ক্ষেপেছ? দু বোতল মদের দরকার হয়েছিল, তাই ‘প্র্যাক‍্টিশ’ দিয়েছিল। দারজিলিং মেলে জিনিষটে দিয়ে পাঠালে ভোর্ রাত ফুর্ত্তি চলবে, তাই দারজিলিং মেলেই পাঠাবার হুকুম! এটা হচ্ছে আমাদের নেশাখোরের ইসারা। হরদম্ ত, গঙ্গাজল, এখানে সেখানে চেয়ে পাঠাচ্ছে, আমরাও পাঠিয়ে দিচ্ছি। এ ‘প্র্যাক‍্টিশ’টা দেখলে কে বলবে যে মধু খুড়ো দু বোতল গঙ্গাজল না চেয়ে, দু বোতল আসল ব্রাণ্ডী চেয়ে পাঠিয়েছেন? তুমিও ত বুঝতে পার নাই। ওহে এটা