পাতা:সচিত্র রেল অবতার - অনাথবন্ধু সেন.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
রেল অবতার।

তোমাদের বিদ্যা বুদ্ধি জানিতে আমার বাকী নাই। বুড়া হইয়াছ—একটু সাবধানে কাজ করিও।”

 কেরাণীবাবু আর দ্বিরুক্তি না করিয়া চলিয়া গেলেন।

 বিনোদের উপর খুবই আক্রোশ হইল, কিন্তু সাহেবের ভয়ে কিছুই করিতে পারিলেন না।

 বিনোদ সাহেব ও মেমের খুব প্রিয়পাত্র হইয়া উঠিয়াছিল। বুদ্ধিমান বিনোদ সুযোগ ছাড়িয়া দিবার ছেলে নয়। টপাটপ পরীক্ষাগুলা পাশ করিয়া এসিষ্টাণ্ট স্টেশন-মাষ্টার হইল। এ দিকে সাহেবও লম্বা ছুটী লইয়া বিলাত চলিয়া গেলেন।

 কেরাণীবাবুর, বিনোদের উপর জাতক্রোধ ছিল। ঐ বড় সাহেব ছিলেন বলিয়া কিছুই করিতে পারেন নাই। এখন শোধ নিতে লাগিলেন। বিনোদ রিলিভিং লিষ্টে এখান, সেখান করিয়া বেড়ায়। দরখাস্ত করিয়াও কোন এক জায়গায় পাকা বাহাল হইতে পারে না।

 একদিন সন্ধ্যার সময় রেলওয়ে-মেসে চাকরী সম্বন্ধীয়, নানা কথা হইতেছিল। এক জায়গার এসিষ্টাণ্টের পদ খানি হইয়াছিল। সে ষ্টেশনটিও ভাল—বেশ দু পয়সাও আছে। বিনোদও সে পদটার জন্য দরখাস্ত করিতে ছাড়ে নাই। কথায় কথায় শুনিল—তাহাদেরই মধ্যে একজন বেশী টাকা ঘুষ দিয়া সেই কাজটা পাইবার চেষ্টা করিতেছে। বোধ হয় তাহারই হইবে।

 গতিক দেখিয়া, সময় সময় বিনোদেরও ঘুষ দিবার ইচ্ছা হইত। কি করিবে?—এমন করিয়া কতদিন কাটাইবে?