পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।
২১

শোষন, কৃন্তন, প্রধান, অনুধ্যাণ, সুদর্শন, বিষাণ, মুমূর্সু, নিসেবিত, নিষিদ্ধ, উৎষেধ, অবসাণ, নিসন্ন, উৎসন্ন।


শব্দ প্রকরণ।

 শব্দ[১] ও ধাতুকে প্রকৃতি কহে। যথা: লোক, ভূ, গম ইত্যাদি।

 প্রকৃতির উত্তর বিশেষ বিশেষ অর্থে যাহা সন্নিবেশিত করা যায়, তাহাকে প্রত্যয় কহে। যথা; ইক, তব্য, য ইত্যাদি।

 বাক্যের অন্তর্গত এক এক অর্থবোধক


  1. শব্দ সমুদায় ত্রিবিধ। রূঢ়, যৌগিক ও যোগরূঢ়। যে সমুদায় শব্দ প্রকৃতি প্রত্যয়ের যোগ ব্যতিরেকে কেবল প্রাচীন সঙ্কেত অনুসারে কোন বস্তুকে বুঝায়, তাঁহাকে রূঢ় শব্দ বলে। যথা; বৃক্ষ, গো, অশ্ব ইত্যাদি। যাহা প্রকৃতি প্রত্যয়ের অর্থ অনুসারে কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে বুঝায়, তাহাকে যৌগিক শব্দ কহে। যথা; পাচক, ভুচর, খেচর ইত্যাদি। আর যাহা প্রকৃতি প্রত্যয়ের অর্থ গ্রহণ করিয়া কেবল এক ব্যক্তি বা এক বস্তুকে বুঝায় ভাহাকে যোগরূঢ় কহে। যথা; পঙ্কজ। এখানে পঙ্কজাত বস্তু সাধারণকে না বুঝাইয়া কেবল পদ্মকে বুঝাইল।