পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।
২৫

স্ত্রীলিঙ্গের বিশেষণ পুংলিঙ্গের ন্যায়ও হইয়া থাকে। যথা; তাহার বুদ্ধি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ ছিল[১]

স্ত্রীলিঙ্গ প্রত্যয়।

 জাতিবাচক[২] অকারান্ত শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ হইলে প্রায়ই ঈকারান্ত হয়[৩]। যথা: ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণী, মৃগ-মৃগী, হংস-হংসী, পিশাচ-পিশাচী, ছাগ-ছাগী, হয়-হয়ী, মৎস্য-মৎসী[৪]


  1. স্ত্রীলিঙ্গের বিশেষণ যখন বিশেষ্যের পরবর্ত্তী হয়, তখনই প্রায় পুংলিঙ্গ হয়। আর যখন পূর্ববর্ত্তী থাকিয়াও পুংলিঙ্গ হইয়া থাকে, তখন কর্ম্মধারয় সমাস করিয়া পূর্ব্বপদ পুংলিঙ্গের ন্যায় হয়।
  2. অজা, দ্বিজা, অশ্বা, বড়বা, চটকা, কোকিলা, বলাকা, ক্রুঞ্চা, পুত্তিকা, মক্ষিকা, পিপীলিকা, করটা, মূষিকা, শূদ্রা, বৈশ্যা, ক্ষত্রিয়া এই কয়টি আকারান্ত হয়, কিন্তু যখন জাতি না বুঝাইয়া পত্নী বুঝায়, তখন কোন কোন নিষিদ্ধশব্দও ঈকারান্ত হয়। যথা; শূদ্র-ভার্যা শূদ্রী।
  3. সংস্কৃত ব্যাকরণে ইহাকে ঈপ্ প্রত্যয় বলে।
  4. ঈ প্রত্যয় পরে থাকিলে মৎস্য ও মনুষ্য শব্দের য র লোপ হয়।