পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
এপিক্‌টেটসের উপদেশ।

তােমাদের শেকতাপ চলিয়া যাইবে, ঈর্ষা দ্বেষ চলিয়া যাইবে, কোন রিপুরই আর বশীভূত হইতে হইবে না, কোন বাধাবিঘ্নে প্রতিহত হইবে না, সর্ব্বপ্রকার অনিষ্ট হইতে মুক্ত হইয়া নিরুদ্বেগে জীবনযাত্রা নির্ব্বাহ করিতে পারিবে।” যিনি এইরূপ শান্তি-সম্পদ লাভ করিয়াছেন (যে শান্তির ঘোষণা ঈশ্বর ভিন্ন কোন পার্থিব রাজা কর্ত্তৃক অসম্ভব) তিনি কি আত্ম-পর্য্যাপ্ত ও আপ্তকাম হয়েন না? তখন তিনি এইরূপ বিবেচনা করেন;—“এখন আমার কোন অমঙ্গল ঘটিতে পারে না; আমার আর দস্যুভয় নাই; ভূমিকম্পের ভয় নাই; আমার নিকট, সকল পদার্থই শান্তিময়; কোনও পথ, কোনও নগর, কোনও সঙ্ঘ, কোনও প্রতিবেশী, কোনও সঙ্গীই আমার তিলমাত্র অনিষ্ট করিতে পারে না!” এইরূপ ব্যক্তির জন্য, কেহ যােগায় আহার, কেহ যােগায় বস্ত্র, কেহ যােগায় তাহার জ্ঞানের খােরাক; যে যাহার অধিকারী সেই তাহার অংশ দিয়া তাহাকে সাহায্য করে। যখন এই সকল আবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ বন্ধ হইয়া যাইবে, তখনই বুঝিতে হইবে তাহার পালা সাঙ্গ হইয়াছে, তাহার প্রস্থানের সময় উপস্থিত হইয়াছে; তখনই তাহার সম্মুখে দ্বার উদ্ঘাটিত হয় এবং ঈশ্বর তাহাকে বলেন;—“প্রস্থান কর”।

—“কোথায় প্রস্থান করিব”?

 কোন ভীষণ স্থানে নহে;—সেই স্থানে তুমি প্রস্থান করিবে, যেখান হইতে তুমি আসিয়াছ;—যাহারা তােমার আত্মীয় বন্ধু—সেই মহাভূতের মধ্যে। তােমাতে যে অগ্নি ছিল তাহা অগ্নির মধ্যে,—যে বায়ু ছিল তাহা বায়ুর মধ্যে,—যে জল ছিল তাহা জলের মধ্যে চলিয়া যাইবে। কি ভূলােক, কি দ্যুলােক, কি স্বর্গ, কি নরক—এমন কোনও স্থান নাই যাহা দেবতাদের দ্বারা, মহাশক্তিদের দ্বারা পূর্ণ নহে। যাহারা এই সব বিষয় চিন্তা করেন, চন্দ্র সূর্য্য তারা নক্ষত্র দর্শন করিয়া যাহারা পরমানন্দ