পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নেপালের পূজা পার্ব্বণ ও জাতীয় উৎসব

 বাঙ্গালা দেশে আমরা বারমাসে তের পার্ব্বণ দেখিয়া আসিতেছি, এখানে ১২ মাসের পূজা পার্ব্বণের সংখ্যা করিয়া উঠাই এক কঠিন ব্যাপার। কি গুর্খা, কি নেওয়ার, নেপালীদিগের ভিতর চির উৎসব চলিয়াছে। এত পূজা পার্ব্বন, আমোদ আহ্লাদ করিয়া কখন যে তাহারা জীবিকা উপার্জ্জনের অবসর পায় তাহাই ত এক সমস্যা। গুর্খাগণ হিন্দু, নেওয়ারগণ পূর্ব্বে বৌদ্ধ ছিল। এই উভয় সম্প্রদায়ের উৎসব এখন নেপালের জাতীয় উৎসব হইয়া দাঁড়াইয়াছে। এই কারণেই নেপালে পূজা পার্ব্বণের এত বাহুল্য দেখা যায়। বৌদ্ধদিগের দেবমন্দির হিন্দুদিগেরও দেবমন্দির হইয়া দাঁড়াইয়াছে। বৌদ্ধদিগের উৎসব হিন্দুদিগেরও উৎসব হইয়া দাঁড়াইয়াছে। বিজয়াদশমী, হিন্দুর উৎসব হইলেও নেপালের আপামর সাধারণের তাহাই এখন প্রধান জাতীয় উৎসব।

 ১। ১লা বৈশাখ হইতে নেপালীদিগের উৎসব আরম্ভ। সেই দিন ভোগমতিগ্রামে নেপালের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা মৎসেন্দ্রনাথের অভিষেকক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং রাজার তরবারি তাঁহাকে দেওয়া হয়। অভিষেকক্রিয়া সম্পন্ন হইলে উচ্চ বিচিত্র বর্ণের পতাকাশোভিত কাঠের রথে বসাইয়া তাঁহাকে পাটনে আনা হয়। আসিবার সময় পথে বিস্তর জনসমাগম হয় এবং পথে এক একদিন এক