পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের বর্ত্তমান গুর্খা রাজগণ।
৯৯

পৃথ্বীবীর বিক্রমশাহ নেপালের সিংহাসনে আরোহণ করিলেন। রণদীপ সিংহ অতি ধর্ম্মপ্রাণ নিরীহ ব্যক্তি ছিলেন, শুনা যায় তিনি শিশু মহারাজ অধিরাজকে অত্যন্ত ভাল বাসিতেন। নেপালের মন্ত্রীপদ লইয়া চিরদিন যুদ্ধ বিগ্রহ হইয়া আসিতেছে। রণদীপ সিংহ যখন মন্ত্রীপদে সমারূঢ়, তখন ভিতরে ভিতরে মন্ত্রীপদ লইয়া তাহার ভ্রাতুপুত্রদিগের ভিতর নানা গুপ্ত চক্রান্ত চলিতেছিল। জঙ্গবাহাদুরের প্রবর্ত্তিত নিয়মানুসারে রণদীপ সিংহের মৃত্যুর পর তাঁহারই কনিষ্ট ভ্রাতা ধীরশামসেরের রাজমন্ত্রী হইবার কথা; কিন্তু ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে রণদীপ সিংহের জীবদ্দশায় তাহার মৃত্যু হইল। তখন জঙ্গবাহাদুরের পুত্রগণের এবং ধীরশামসেরের পুত্রগণের ভিতর মন্ত্রীপদ লইয়া প্রতিদ্বন্দিতা দাঁড়াইল। ধীরশামসেরের জ্যেষ্ঠপুত্র বীরশামসের কিছুদিন কলিকাতার ডবটন কলেজে শিক্ষালাভ করিয়াছিলেন। তিনি অতি চতুর বক্তি ছিলেন; তাঁহাদের ভিতরে ভিতরে নানা গুপ্ত চক্রান্ত চলিতে লাগিল। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দের ২২এ নবেম্বর রবিবার এই গুপ্ত চক্রান্ত অতি ভীষণভাবে ব্যক্ত হইয়া পড়িল;—সেদিন রণদীপ সিংহ রাজবাড়ীতে উপস্থিত ছিলেন; সহসা বীরশামসের প্রমুখ তাঁহার ভ্রাতষ্পুত্রগণ উপস্থিত হইয়া তাঁহাকে হত্যা করিল। কথিত আছে সেই সময়ে তিনি ইষ্টদেবতার পূজায় ব্যাপৃত ছিলেন। বিদ্রোহীদল রণদীপকে হত্যা করিয়া জঙ্গবাহাদুরের জ্যেষ্ঠপুত্র জগৎজঙ্গকে এবং জঙ্গবাহাদুরের পৌত্র যুদ্ধ প্রতাপ জঙ্গকে হত্যা করিল। জঙ্গবাহাদুরের পদ্মজঙ্গ প্রভৃতি অন্যান্য পুত্রগণ