নেপালে বঙ্গনারী/নেপাল যাত্রা

উইকিসংকলন থেকে

প্রথম পর্য্যায়।

নেপালের প্রধান রাজমন্ত্রী মহারাজ সার চন্দ্রশামসের জঙ্গ রাণা বাহাদুর

নেপালে বঙ্গনারী।

নেপাল যাত্রা।

 আমরা সত্য সত্যই নেপাল রাজ্যের রাজধানী কাটমণ্ডুতে অবস্থান করিতেছি। সম্মুখে ভুবনবিখ্যাত এভারেষ্টের শুভ্র হিমানীমণ্ডিত শিখর রৌদ্রে চক্ চক্ করিতেছে। তাহার উভয় পার্শ্বেই সীমান্ত ব্যাপিয়া চিরতুষারাবৃত পর্ব্বতমালা। এই আমাদের ভারতের উত্তর সীমা হিমালয় পর্ব্বত। কে ইহার নাম হিমালয় রাখিয়াছিল? ইহা যে প্রকৃতই হিমালয়। আহা! ঐ শুভ্র নির্ম্মল হিমালয়ে প্রাণ ছুটিয়া যায়। কিন্তু উহা মানবের অলঙ্ঘনীয়। এই সেই কাটমণ্ডু! বাল্যকালে ভূগোলে পড়িয়া ছিলাম নেপাল হিমালয়ের ক্রোড়স্থিত স্বাধীন রাজ্য, কাটমণ্ডু তাহার রাজধানী। তখন কাটমণ্ডু পড়িলেই শিহরিয়া উঠিতাম। কাটামণ্ডুতে গেলে বুঝি কেহ আর মুণ্ড ফিরিয়া পায়না। না জানি সে কি ভীষণ রাজ্য! সে দেশের মানব বুঝি সাক্ষাৎ দানব। ক্রমে শুনিলাম নেপালে গিয়া লোকে ফিরিয়া আসিয়াছেন। কেবল শ্রুত কথা নয়, নেপাল প্রত্যাবৃত্ত সাক্ষাৎ মানব দেখিলাম, কৈ মুণ্ডত যায় নাই, বরং কিছু লাভ হইয়াছে। তখন কাটমণ্ডুভীতি কিঞ্চিৎ প্রশমিত হইল। কিন্তু তখনও ভাবি নাই যে সেই কাটমণ্ডুতে এক দিন আসিতে হইবে।

 জুলাই মাসের এক দিন রাত্রি প্রায় ১০টার সময় হাবড়া হইতে। রেলগাড়ী চড়িয়া নেপাল যাত্রা করিলাম। রাত্রি প্রভাত হইতে না হইতে মোকামা ঘাটে পৌঁছিলাম। ষ্টীমারে করিয়া গঙ্গা পার হইবার সময় গঙ্গার বক্ষে অরুণোদয় দেখিলাম। সে বড় সুন্দর দৃশ্য। গঙ্গা পার হইয়াই পুনরায় রেল গাড়ীতে আরোহণ করিলাম। উভয় পার্শ্বের দৃশ্য দেখিতে দেখিতে মজঃফরপুর, মতিহারী ইত্যাদি ছাড়িয়া বৈকালে শিগাউলি পৌঁছিলাম। এই সেই শিগাউলি, যেখানে ১৮১৬ খৃষ্টাব্দে ইংরাজ রাজের সহিত নেপাল রাজের সন্ধি হইয়াছিল। সেই দিন হইতে নৈনিতাল, মসুরি প্রভৃতি রমণীয় প্রদেশ সকল নেপাল-রাজের হস্তচ্যুত হইয়াছে। শিগাউলি হইতে অন্য রেলগাড়ীতে উঠিয়া দেখিতে দেখিতে সূর্যাস্তের সময় রক‍্সলে পৌঁছিলাম। ষ্টেশনটী অতি ক্ষুদ্র, একখানি গৃহ মাত্র বলিলেও হয়। এখানে ইংরাজ রাজ্যের সীমান্ত। ষ্টেশনেই দেখিলাম ছোট ছোট পানসীর মত কি পড়িয়া রহিয়াছে। এমন যান ত জীবনে কখনও দেখি নাই। জলপথ নয়। স্থলপথে এই নৌকায় চড়িয়া কিরূপে যাইব বুঝিতে পারিলাম না। শুনিলাম ইহার নাম কার্পেট। ইহার তলদেশ কার্পেটে আবৃত বটে। কার্পেটে শয্যা বিস্তৃত হইল। আমরা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন কার্পেটে বসিলাম। অমনি চারিজন তাহা স্কন্ধে করিয়া লইল। তখন বুঝিলাম
মহারাজ দেব শামসের ও দেবী কর্ম্মকুমারী
এ ত নৌকা নয়, এ দোলা। উপকথায় যে দোলার কথা.পড়িয়াছিলাম এই বুঝি সেই দোলা। কার্পেটের মাথার উপর একটা কাঠের ঢাকনা, তাহার চারিদিকে ঝালরের মত পর্দ্দা। কার্পেটের দোলায় দুলিতে দুলিতে নেপাল রাজ্যে প্রবেশ করিলাম। প্রায় এক মাইল দূরবর্ত্তী বীরগঞ্জের হাঁসপাতালে আসিয়া পৌঁছিলাম। সেই খানেই রাত্রি বাস করা গেল। পর দিন প্রাতে আহারাদি করিয়া পূনরায় কার্পেটে আরোহণ করিয়া যাত্রা করিলাম। বীরগঞ্জে আসিতে আসিতে পথে মহারাজার শীতকালের আবাস সুন্দর প্রাসাদ দেখিলাম। বীরগঞ্জ একটী ক্ষুদ্র সহর। বীরগঞ্জ ছাড়িয়া বিশাল প্রান্তরে আসিয়া পড়িলাম। আজ আমাদিগকে প্রায় দশ ক্রোশ যাইতে হইবে। প্রান্তর ছাড়িয়া দিবা শেষে এক জঙ্গলের ভিতর প্রবেশ করিলাম। শুনিলাম চারিক্রোশ ক্রমাগত এই জঙ্গলের ভিতর দিয়া আমাদের গন্তব্যস্থানে পৌঁছিতে হইবে। জঙ্গলের ভিতর এক এক ক্রোশ অন্তর একটী জলের কল আছে। ভূতপূর্ব্ব রাজমন্ত্রী মহারাজ দেবশামসের স্বর্গীয়া পত্নী দেবী কর্ম্মকুমারীর স্মরণার্থ এই সকল জলধারা নির্মাণ করিয়াছেন। প্রত্যেক জলধারার উপর দেবনাগরী অক্ষরে সেই স্বর্গবাসিনীর নাম লিখিত আছে। ক্লান্ত পথিক দুই হস্তে অমৃতশীতল জলধারা পান করে, আর মনে মনে সেই সাধ্বীকে সহস্র আশীর্ব্বাদ করিয়া থাকে। আমাদের বাহকগণও এখানে জলপান করিয়া শীতল হইল। জনমানবহীন শ্বাপদসঙ্কুল জঙ্গলের ভিতর, রজনী সমাগত হইল। সঙ্গে মশাল, লণ্ঠন কিম্বা অন্য কোন আলো নাই। ঝিল্লীনিনাদিত গভীর অরণ্যে নিঃশব্দে ব্যাকুল চিত্তে কয়টী প্রাণী যাইতেছি। আমাদের মন ত্রাসে উৎকণ্ঠিত। শিশুসন্তানগণ ক্ষুধা এবং নিদ্রায় আকুল। আবার কোথা হইতে মাছির ন্যায় কি গায়ে পড়িতেছে। তাহার দংশনে সকলে আরও অস্থির হইয়া পড়িল। শ্রাবণ মাসে এতদঞ্চল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হয়। আমরা ব্যাকুল চিত্তে ক্রমে রাত্রি ৯টার সময় বিছাকরির পান্থনিবাসে পৌঁছিয়া নিশ্চিন্ত হইলাম। দোতলায় প্রশস্ত গৃহে বেঞ্চ টেবিল এবং শয়নের জন্য খাট রহিয়াছে। দেখিলাম। তখনি শয্যা প্রস্তুত হইল। শিশুগণ শয়ন করিল, এবং সমস্ত রাত্রি নিদ্রায় অতিবাহিত করিল। আমরা দুইটী অন্নের প্রত্যাশায় রাত্রি ১০॥|১১টা পর্য্যন্ত অপেক্ষা করিয়া অর্দ্ধ সিদ্ধ দুটী ভাত খাইয়া শয়ন করিলাম। পর দিন প্রাতে আহার করিয়াই পুনরায় যাত্রা করিলাম। বিছাকরি হইতে বরাবর একটা পার্ব্বত্য নদীর বারিশূন্য তল ধরিয়া চলিলাম। কেবল বালুকা এবং নুড়ি, মধ্যে মধ্যে ঝির ঝির করিয়া জল আসিতেছে। কাটমণ্ডু যাইবার পথ বরাবর প্রায় এই প্রকার। হয় নদীর মধ্য দিয়া না হয় নদীর ধার দিয়া যাইতে হয়। মধ্যে মধ্যে বাহকগণ আমাদের স্বন্ধে লইয়াই খরস্রোতা নদীতে অবতরণ করিয়া পার হইয়া যায়। বিছাকরি হইতে তিন ক্রোশ মাত্র দূরে চুরিয়ার পান্থনিবাসে আমরা আশ্রয় লইলাম। চুরিয়ার পান্থশালাটী যদিও বিছাকরির ন্যায় প্রশস্ত নয়, কিন্তু স্থানটী বেশ নির্জ্জন এবং সুন্দর। পর দিন প্রাতে আহারাদি সম্পন্ন করিয়া পুনরায় কার্পেটারোহণ। আজিকার পথে দৃশ্য বড় সুন্দর। ক্রমে যত যাইতেছি দুই ধারে গভীর জঙ্গলাবৃত পর্ব্বতসকল অটল অচল হইয়া দাঁড়াইয়া আছে। চারি দিক নিস্তব্ধ। দিবাভাগেই ঝিল্লিকাগণ ঝিঁ ঝিঁ শব্দ করিতেছে। মাঝে মাঝে পর্ব্বতের গাত্র বহিয়া ঝর ঝর করিয়া ঝরণার জল পড়িতেছে। প্রকৃতির কি স্তব্ধ সুগম্ভীর ভাব! চারি দিকের সুন্দর শান্ত সৌন্দর্য্যে আমাদের প্রাণ বিস্ময়ে ও পুলকে স্তব্ধ হইয়া গেল। কোথাও দেখি পার্ব্বত্য নদী কল কল ছল ছল করিয়া যেন লাফাইতে লাফাইতে নামিয়া আসিতেছে। কি বিক্রম! কি গর্জ্জন! জল অতি স্বাদু, অতি নির্ম্মল, অত্যন্ত শীতল। পথে কেবল পর্ব্বত এবং জঙ্গল। মধ্যে মধ্যে কেবল দুই এক ঘর বসতি দেখিলাম। বাহকগণ সেখানে আহার ও বিশ্রাম করে। পথে হেটুরা নেবুয়াটার প্রভৃতি স্থানে পান্থনিবাস আছে বটে, কিন্তু বর্ষাকালে সেখানে “আউল” নামে ভীষণ ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব হয়। এক বার তাহার কবলে পড়িলে আর রক্ষা নাই। আমরা এ সকল পান্থনিবাসে পদার্পণ করিলাম না। তৃতীয় দিন প্রায় ৯ক্রোশ পার্ব্বত্য পথ অতিক্রম করিয়া ভীমফেদীর পান্থনিবাসে প্রায় সন্ধ্যার সময়ে উপনীত হইলাম। এখানে বিস্তর যাত্রীর সমাগম দেখিলাম।

 দ্বিতল গৃহে আশ্রয় লইলাম বটে কিন্তু স্বচ্ছন্দে বাস করিবার কোন বন্দোবস্ত নাই। আহারের ক্লেশ পথে যথেষ্ট। মোটা চিড়া ও মোটা চাউল ভিন্ন কিছুই মিলে না।

 সঙ্গে প্রচুর আহারের সংস্থান করিয়া না আসিলে বিলক্ষণ আহারের ক্লেশ পাইতে হয়। আমাদের সঙ্গে ভৃত্য ও পাচক ছিল। বটে, কিন্তু পূর্ব্বের অভিজ্ঞতা না থাকায় সঙ্গে যথেষ্ট আহার্য আনা হয় নাই। সুতরাং সে বিষয়ে কিঞ্চিৎ অসুবিধা ভোগ করিতে হইয়াছিল। ভীমফেদী উপত্যকার ন্যায়, চতুর্দ্দিকে পর্ব্বতমালা বেষ্টিত। পরদিন প্রত্যুষে আহারাদির কোন চেষ্টাই না করিয়া শিশুসন্তানদিগের জন্য মহিষের দুগ্ধের সংস্থান করিয়া আমরা, যাত্রা করিলাম। পথের কষ্টে নাকাল হইয়া আজ আমাদের প্রতিজ্ঞা কাটমণ্ডুতে পৌঁছিতেই হইবে। ভীমফেদী হইতে বাহির হইয়া অতি অল্পক্ষণের মধ্যেই পর্ব্বতে উঠিতে আরম্ভ করিলাম। ওঃ সে কি ভয়ানক পথ! যেন সোজা ভাবে উঁচু হইয়া উঠিতেছে। পথে আছে গাছ পালা না আছে আশ্রয়। পথও কি তেমনি? পা দিবা মাত্র নোড়া নুড়ি গড়াইয়া পড়িতেছে। কেবল ক্ষণে ক্ষণে ভয় হইতেছে বাহকগণ এইবার বুঝি আমাদের স্কন্ধে লইয়া গড়াইয়া তলায় পড়িয়া যায়। বাহকগণও গল‍্দ‍্ঘর্ম্ম, অতি কষ্টে সাবধানে উঠিতেছে আর মুখে “নারাণ” “নারাণ” বলিতেছে। নিশ্চিত, নেপালী বাহক ভিন্ন সে পথে আর কেহ ভার বহন করিয়া যাইতে পারে না। পথ এমন সোজা যে আমাদের কার্পেট হইতে পড়িয়া যাইবার উপক্রম হইতেছে। ক্রোড়ের শিশুকে এক হস্তে চাপিয়া ধরিয়া আর এক হস্তে কার্পেট চাপিয়া ধরিয়াছি, আর বারংবার সকলকে সাবধান করিয়া দিতে হইতেছে। এই ভীষণ খাড়াই যেন শেষ হয় না। প্রায় ২৩০০ ফুট এই ভাবে উঠিলাম, ভয়ে যেন হৃৎপিণ্ডের শোণিত খর বেগে চলিতে চলিতে সহসা বন্ধ হইয়া আসিল। এই ভাবে অতি কষ্টে শিখরে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। বাহকগণ কার্পেট নামাইয়া হাঁপাইতে লাগিল; আমরা বাঁচিলাম। এই স্থানের নাম চিসাপাণিগড়ি। এখানে গড় এবং সৈন্য আছে। এই পথে শত্রুর আগমন প্রতিরোধ করিবার জন্য সমুদয় ব্যবস্থা আছে। স্থানটী খুব উচ্চ এবং শীতল। চিসাপাণিগড়ি হইতে নীচের পথে ভীমফেদীর উপত্যকা দেখা যায়। গড়িতে পৌঁছিয়া দেখিলাম আমাদের জন্য কাটমণ্ডু হইতে লোক আসিয়াছে। তাহাদের সঙ্গে ফল খাদ্যদ্রব্য ছিল। উহা আনিয়া শিশুগণ ও বাহকগণ সকলে আনলে ভোজন করিল। আজ আমাদের পথের শেষ দিন, আজ পথ যেরূপ কঠিন, দূরত্বও তদ্রুপ। গড়ি হইতে কমে নামিয়া কুলিখানি নামক সুন্দর স্থানে আসিলাম। সেখানে খরস্রোতে গর্জ্জন করিতে করিতে এক পার্ব্বত্য নদী নামিয়া যাইতেছে। তাহার উপর সুন্দর পুল। পুলের উপর দিয়া সকলে পদব্রজে পর পারে উপস্থিত হইলাম। সেখানে অতি সুরম্য পান্থনিবাস রহিয়াছে, কিন্তু আমাদের সেদিন বিশ্রামের সময় নাই। আজ ক্রমাগত পাহাড় ভাঙ্গা। একটা হইতে অন্যটা—সেটা হইতে আর একটা। এই প্রকারে ক্রমাগত তিনটা উচ্চ উচ্চ পাহাড় অতিক্রম করিলাম। ক্রমে সূর্যাস্ত হইল। কিন্তু আমাদের গন্তব্যস্থান বহুদূরে। আমরা চন্দ্রগিরি নামক শেষ পাহাড়ে নামিতে লাগিলাম। সে কেবলই নামা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যায় অবতরণ করিতেছি। চন্দ্রগিরি হইতে কাটমণ্ডুর উপত্যকা সন্ধ্যার অন্ধকারে অস্পষ্ট দেখা যাইতে লাগিল। ক্রমে অন্ধকার ঘনীভূত হইয়া আমাদের দর্শনলালসা চরিতার্থ হইতে দিল না। চন্দ্রগিরি হইতে অবতরণ করিয়া আমরা সমতলে পদার্পণ করিলাম। সে স্থানের নাম থানকোট। সেখানে জনসমাগম এবং কাষ্ঠনির্মিত গৃহ দেখিয়া মনে হইল এইবার বুঝি কাটমণ্ডুতে পৌঁছিলাম। কিন্তু থানকোট হইতে অন্ধকারে তিন ক্রোশ পথ অতিক্রম করিয়া প্রায় রাত্রি ৯টার সময় আমরা কাটমণ্ডু সহরে প্রবেশ করিলাম। কেবল দু’ধারে গীতবাদ্যের শব্দ কর্ণে আসিতে আগিল। তখন আমরা এত পরিশ্রান্ত যে পর্দ্দা সরাইয়া—দুই ধারের দৃশ্য দেখিতে ইচ্ছা হইল না। ইহা ভিন্ন এ সহরে[১] কলিকাতার ন্যায় পথপার্শ্বে আলোক নাই, সব অন্ধকার—কেবল গীত বাদ্য কর্ণে আসিতে লাগিল। বাসায় আসিয়া পৌঁছিতে প্রায় ১০টা বাজিয়া গেল। আমরা সুসজ্জিত আলোকিত গৃহ এবং বন্ধুর পরিচিত মুখখানি দেখিয়া যেন অবসন্ন দেহে প্রাণ পাইলাম।

  1. এখন কাটমণ্ডুতে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা হইয়াছে! সহর এখন উজ্জ্বল।