পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালে বৌদ্ধধর্ম্ম।
৩৯

সর্ব্বশ্রেষ্ঠ জাতি। কিন্তু বর্ত্তমান সময়ে বাঁহরাগণ অনেকস্থলে বিহারবাসী বটে, কিন্তু তাহারা সন্ন্যাসধর্ম্ম বিসর্জন দিয়া ভোগাসক্ত গৃহী হইয়াছে। তাহারা অধিকাংশই আমাদের দেশের সুবর্ণবণিকের কর্ম্মে নিযুক্ত। “অহিংসা পরমোধর্ম্ম” বাদী বৌদ্ধগণের ভিতর ক্ষত্রিয়ের স্থান অধিকার করিবার কোন জাতি নাই। বৈশ্যদিগের মধ্যে দ্বিতীয় জাতি “উদাসী” ইহারা সকলেই প্রায় ব্যবসা বাণিজ্যে লিপ্ত। চীন, জাপান, তিব্বত প্রভৃতি দেশেও ইহারা বাণিজ্যার্থে গমনাগমন করিয়া থাকে। উদাসীগণ নেপালের বৌদ্ধদিগের মধ্যে ধনিশ্রেষ্ঠ।

 ৩। “জাপু”—ইহারা শূদ্রদিগের ন্যায় কৃষিকর্ম্ম দাসবৃত্তি এবং নীচকার্যে লিপ্ত থাকে।

 নেওয়ারদিগের ভিতর এই প্রধান তিনবর্ণ আবার নানা শ্রেণীতে বিভক্ত। উচ্চবর্ণ নিম্নবর্ণের সহিত আহার বিহার আদান প্রদান করে না, করিলে জাতিচ্যুত হয়। এই প্রধান তিন জাতি ভিন্ন আট প্রকার অস্পৃশ্য জাতি আছে। তাহাদিগকে নছুনি জাত বলে, অর্থাৎ তাহাদিগের জলগ্রহণ করা যায় না

 বাঁহরাগণ ১। আরহান ২। ভিক্ষু ৩। শ্রাবক ৪। চৈলাক এই চারিশ্রেণীতে বিভক্ত।

 উদাসীদিগের ভিতর ৭টি শ্রেণী আছে। জাপুগণ ৩০টি শাখায় বিভক্ত।

 নেওয়ারদিগের এই বর্ণবিভাগ যেরূপ বৌদ্ধধর্ম্মকে মলিন