নেপালে বঙ্গনারী/নেপালের প্রধান তীর্থ পশুপতিনাথ

উইকিসংকলন থেকে

নেপালের প্রধান তীর্থ

পশুপতিনাথ।

 বৌদ্ধ ধর্ম্ম প্রচারিত হইবার পর ভারতবর্ষে পৌরানিক হিন্দু ধর্ম্মের অভ্যুত্থান হইয়াছে। বৈদিক সময়ে দেব মন্দিরও ছিল না বিগ্রহ পূজাও ছিল না। এখন হরিদ্বার হইতে কুমারীকা অন্তরীপ পর্যন্ত ভারতবর্ষে কত তীর্থ কত মন্দির ও কতই বিগ্রহ দেখিতে পাওয়া যায়। বৌদ্ধযুগের পূর্ব্বে এরূপ ছিল না। মহাত্মা শাক্যসিংহ তাঁহার শিষ্যদিগের জন্য কোন প্রকার পূজা অর্চ্চনা যাগ যজ্ঞ, স্তব স্তুতির ব্যবস্থা দিয়া যান নাই। অথচ সেই বৌদ্ধধর্ম্মের সংস্পর্শে আসিয়া হিন্দুধর্ম্মের এইরূপ রূপান্তর হইয়া পড়িয়াছে। বর্ত্তমান সময়ে ভারতের অনেক তীর্থ এবং অনেক দেব মন্দির এক সময়ে বৌদ্ধদিগের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল তাহাতে আর সন্দেহ নাই। সম্রাট অশোক যে ৮৪০০০ স্তুপ নির্ম্মাণ করিয়া বুদ্ধের দেহাবশেষ রক্ষা করিয়া ছিলেন। তাহার অধিকাংশ স্তুপই যে এখন দেবমন্দিরে পরিণত হইয়াছে তাহাতে আর সংশয় কি? নচেৎ সে সকল কোথায় অন্তর্হিত হইল? হিন্দুধর্ম্মের কবলে যেমন বৌদ্ধধর্ম্ম লোপ পাইয়াছে। বৌদ্ধদিগের বিহার, স্তুপ
পশুপতিনাথের মন্দির।
স্মৃতিচিহ্নসকল হিন্দুতীর্থ ও দেবমন্দিরে পরিণত হইয়াছে। পুরীর জগন্নাথ এবং নেপালের পশুপতিনাথ এই শ্রেণীর তীর্থ বলিয়া বোধ হয়। নেপালের ইতিহাসে পশুপতিনাথের জন্মকথা এইরূপ বিবৃত আছে। পুরাকালে নেপাল উপত্যকা বিশাল নাগবাস নামে হ্রদ ছিল। তথয় নাগকুল বাস করিত। সত্যযুগে বিপাশ্ব বুদ্ধ বন্দুমতি দেশ হইতে আসিয়া নাগবাসহ্রদের পশ্চিমে নাগার্জ্জুণ নামে পর্ব্বতে বাস করেন এবং হ্রদের জলে একটী পদ্মের মূল রোপণ করেন। তৎপরে তিনি শিষ্যগণকে সেখানে রাখিয়া স্বদেশ প্রত্যাবর্ত্তন করেন। ঐ যুগেই পদ্মের মূল হইতে শতদল বিকশিত হইল এরং তন্মধ্যে স্বয়ম্ভু ভগবান প্রকাশিত হইলেন। বাণী শ্রবণ করিয়া শিখিবুদ্ধ আমরাপুরী হইতে আসিয়া সেই আলোকে বিলীন হইয়া যান। তৎপরে ত্রেতাযুগে বিশ্বভূ বুদ্ধ অণুপম হইতে আসিয়া ফুলচক পর্বত হইতে জ্যোতি দর্শন করিয়া লক্ষ পুষ্পের অঞ্জলি দেন।

 উক্ত ত্রেতা যুগে মঞ্জুশ্রী বুদ্ধ চীন দেশ হইতে আসিয়া দিব্য জ্যোতি দর্শন করেন। এবং তিনি তরবারীর আঘাতে কাটওয়ার নামক স্থান দিয়া হ্রদের জল বাহির করিয়া দেন। হ্রদের জলের সহিত নাগগণ বাহির হইয়া গেলে, তিনি কর্কটক নামে নাগরাজকে অনুরোধ করিয়া টাউদা নামক জলাশয়ে স্থাপন করিলেন; এবং উপত্যকায় সমুদায় ধন সম্পত্তির উপর তাঁহার আধিপত্য অপ্রতিহত হইল। তিনি বিশ্বরূপের মধ্যে স্বয়ম্ভুজ্যোতি দর্শন করিলেন। এবং বিশ্বরূপের ভিতর গুহ্যেশ্বরীকে দর্শন করিলেন। পদ্মের মধ্যস্থিত স্বয়ম্ভুজ্যোতিকে পূজা করিলেন। এবং সেই পদ্মের মূল যে গুহ্যেশ্বরীতে নিহিত ছিল তাহাও তিনি লক্ষ্য করিলেন। গৃহস্থ ব্যক্তিগণের বাসের জন্য তিনি মঞ্জুপাটন নামক সহর প্রতিষ্ঠা করেন। এবং ভিক্ষুদিগের জন্য বিহারও স্থাপন করিয়াছিলেন। পরিশেষে ধর্ম্মরকে রাজা করিয়া তিনি চীনে প্রস্থান করিলেন। মঞ্জুশ্রীর শিষ্যগণ মঞ্জুশ্রীর পূজার জন্য স্বয়ম্ভুর নিকট এক মন্দির। নির্মাণ করেন।

 ত্রেতা যুগে করকাচাঁদ বুদ্ধ ক্ষেমবতী নামক স্থান হইতে আগমন করিয়া স্বয়ম্ভুজ্যোতির ভিতর গুহ্যেশ্বরীকে দর্শন করেন। তিনি ব্রাহ্মণ জাতীয় ৭০০ ব্যক্তিকে ভিক্ষুব্রতে দীক্ষা দেন। কিন্তু কোথায়ও আর জল দেখিতে পাইলেন না। তখন পর্ব্বত গাত্রে অঙ্গুলি স্পর্শ করিবামাত্র বাঘমতি নদী নামিয়া আসিল। ৭০০ শিষ্যের কেশ লইয়া শূণ্যে ছড়াইয়া দিলেন অমনি কেশমতি নদীর জন্ম হইল।

 দ্বাপর যুগে কণকমুণি বুদ্ধ শোভাবতী হইতে আসিয়া স্বয়ম্ভু ও গুহেশ্বরীর পূজা করেন। তৎপরে কাশ্যপ বুদ্ধ কাশী হইতে আগমন করেন। তিনিও স্বয়ম্ভু ও গুহেশ্বরীর পূজা করিয়া কৃতার্থ হন তৎপরে তিনি গৌড়ে (বাঙ্গাল) গিয়া প্রচণ্ডদেব নামক রাজাকে স্বয়ম্ভু ও গুহেশ্বরীর পূজা করিতে আদেশ দেন। তাঁহার আদেশানুসারে প্রচণ্ডদেব শান্তশ্রীনাথ নাম ধারণ করিয়া ভিক্ষুব্রত গ্রহণ করিলেন। তিনি স্বয়ম্ভুজ্যোতি দর্শন করিয়া কৃতার্থ হইলেন। কিন্তু কলিযুগ সন্নিকট জনিয়া স্বয়ম্ভুজ্যোতিকে আচ্ছাদন করিয়া তদুপরি মন্দির নির্ম্মাণ করেন। কালে সেই স্বয়ম্ভুর মন্দির ধূলিসাৎ হয়, এবং স্বয়ম্ভুজ্যোতি ভগ্নাবশেষের ভিতর প্রোথিত হন। সকল চিহ্ন কালে বিলুপ্ত হইল। একদা এক গাভী নিত্য নির্জ্জণে বনের মধ্যে তথায় আসিয়া দুগ্ধদ্বারা সেচন করিতে থাকে। একদিন গোপালক পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিয়া গোপনে সমুদয় ব্যাপার দর্শণ করিল এবং কৌতুহল পরবশ হইয়া সে স্থান খনন করিতে আরম্ভ করে। এবং খনন করিতে করিতে সহসা স্বয়ম্ভুজ্যোতি প্রকাশিত হইয়া তাহাকে ভস্মসাৎ করিয়া ফেলিলেন।

 নীমুনি (যাহার নাম হইতে নেপাল নামের উদ্ভব) এই গোপালকের পুত্রকে রাজা করিলেন। এবং ইহারই রাজত্ব কালে পশুপতিনাথের পুনঃ প্রতিষ্টা হয়। পূরাকালে সেই স্বয়ম্ভু বর্ত্তমান কালে এই পশুপতিনাথ। কিন্তু এখনও কাটমণ্ডু সহরের অদূরে স্বয়ম্ভুনাথের (স্বিম্ভুনাথের) প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়।

 বর্ত্তমান সময়ে নেপালে প্রায় ২৭৩৩টী দেব মন্দির আছে; তন্মধ্যে পশুপতিনাথের মন্দির সর্ব্ব প্রধান। নেপালের উপত্যকায় কাটমণ্ডু সহরের প্রায় তিন মাইল উত্তরপূর্ব্বে বাঘমতি নদীর পশ্চিমে পশুপতিনাথের প্রধান মন্দির অবস্থিত। বর্ত্তমান মন্দিরটী কতদিন নির্ম্মিত হইয়াছে তাহা নিশ্চিত বলা যায় না। তবে বৎসরের হিসাব না করিয়া শতাব্দীর হিসাব করিতে হয়। ভারতবর্ষে বৌদ্ধধর্ম্মের অবনতির সঙ্গে সঙ্গে উক্ত ধর্ম্ম নেপালেও ম্লান হইয়া আসিয়াছে এবং সমুদায় বৌদ্ধস্মৃতি বিসর্জ্জন দিয়া উক্ত দেবালয় মহাদেবের মন্দির হইয়াছে। বস্তুতঃ পশুপতিনাথের বিগ্রহে মহাদেবের কোন বিশেষত্ব দেখা যায় না। তবে মন্দিরের প্রাঙ্গনে, ত্রিশূল, বৃষ, শিবলিঙ্গ সকলই বর্ত্তমান। মন্দিরটী অতি সুদৃশ্য এবং উচ্চ। নেপালের সকল নৃপতি, সকল প্রসিদ্ধ ব্যক্তি, পশুপতিনাথের মন্দিরের কিছু না কিছু শ্রীবৃদ্ধি করিয়া গিয়াছেন। নেপালরাজ সদাশিব দেব পশুপতিনাথের মন্দিরের ছাদ স্বর্ণ মণ্ডিত করিয়া গিয়াছেন। সুপ্রসিদ্ধ রাজমন্ত্রী, ভীমসেন থাপা কর্ত্তৃক পশুপতিনাথের মন্দিরের প্রাঙ্গণে সুবর্ণ মণ্ডিত একটী প্রকাণ্ড বৃষ স্থাপিত দেখিতে পাওয়া যায়। এতদ্ভিন্ন কত যে স্বর্ণময় বৃষ, কত যে শিবলিঙ্গ আছে তাহা গণনা করা দুঃসাধ্য। পশুপতি নাথের মন্দিরে স্বর্ণ রৌপ্যের অতিশয় প্রাচুর্য দেখা যায়। ভারতের প্রায় অন্য সকা তীর্থ মুসলমানদিগের হস্তস্পর্শে হতশ্রী হইয়াছে। এই সকল তীর্থের ধন সম্পত্তি বারম্বার লুষ্ঠিত হইয়াছে—কেবল পশুপতিনাথ ইহার ব্যতিক্রম স্থল। নেপালে বুদ্ধ গিয়াছেন, অশোক গিয়াছেন, বিক্রমাদিত্য গিয়াছেন, শিলাদিত্য গিয়াছেন, শঙ্কর গিয়াছেন, কেবল যান নাই মুসলমান দিগ্বিজয়ীগণ। বৌদ্ধ এবং হিন্দুগণ নেপালে অনেক কীর্ত্তিস্থাপন করিয়াছেন, অনেক দেবালয়, অনেক মন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। কিন্তু মুসলমান হস্তে কোন দিন তাহা স্পৃষ্ট হয় নাই। স্পর্শ করা দূরে থাকুক, দৃষ্টিপাতও করেন নাই। পশুপতিনাথের প্রভূত ঐশ্বর্য্য সহস্র সহস্র বৎসর ধরিয়া পূঞ্জীকৃতই হইতেছে, লুণ্ঠন করিতে কেহ আসে নাই। তাই বোধ হয় অন্য কোন তীর্থে এরূপ স্বর্ণ রৌপ্যের প্রাচুর্য্য দেখা যায় না। যে স্থানে পশুপতিনাথের মন্দিরটী প্রতিষ্টিত আছে, বস্তুতঃ তাহা অতি রমণীয়। পশুপতিনাথের মন্দিরের নিকটে বহুদূর পর্য্যন্ত বাঘমতি নদীর উভয় পার্শ্বে প্রস্তর নির্ম্মিত কত সোপান কত ঘাট,—গৌরী ঘাট, আর্য্য ঘাট, প্রভৃতি! পশুপতির ঘাটে দাঁড়াইয়া দেখিলে বাঘমতির দৃশ্য কি সুন্দর! উভয় পার্শ্বস্থিত উন্নত পর্ব্বতের মধ্য দিয়া যেন কোন অদৃশ্য লোক হইতে আঁকিয়া বাঁকিয়া পুণ্যতোয়া নির্ঝরিণী কুল কুল করিয়া নামিয়া আসিতেছে। যেন ব্রহ্মার পাদপদ্ম হইতে মন্দাকিণী নামিয়া আসিতেছে। অন্য সময় এই অপরিসর পার্ব্বত্য নদীর জল অতি অল্প থাকে কিন্তু বর্ষায় তাহার কি খরস্রোত! কি কল্লোল! আর্য্যঘাটের পুলের উপর দাঁড়াইয়া, বাঘমতির খরস্রোত ও কল্লোল দর্শন করিলে প্রাণ এরূপ উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠে, যে সেই খরস্রোতের মুখে লম্ফ দিয়া পড়িয়া ভাসিয়া যাইতে ইচ্ছা করে। বাঘমতির এই নৃত্যময়ী লীলা দেখিয়া নয়ন পরিতৃপ্ত হয় না; এবং কল্লোলিনীর কল্লোল শুনিয়া শুনিয়া কর্ণ যেন আর তৃপ্ত হয় না। নেপালীদিগের নিকট পশুপতিনাথ অতি পবিত্র স্থান। মৃত্যুর সময়ে সকলে পশুপতি নাথের চরণ পাইবার জন্য ব্যাকুল হয়। আবালবৃদ্ধবণিতা সকলকে মৃত্যুর পূর্বে পশুপতিনাথে লইয়া যাওয়া হয়। পশুপতির ঘাটে দুইখানি প্রশস্ত শিলা এরূপ ভাবে নিহিত আছে যে তাহার উপর কাহাকেও শয়ন করাইলে পদদ্বয় বাঘমতির বারি স্পর্শ করে। এই শিলা-দুখানির একখানি রাজ পরিবার সকলের জন্য, অপরখানি মন্ত্রীর পরিবারের সকলের জন্য। রাজা মহারাজা মহারাণী সকলেই অন্তিমে এই শিলা শয্যায় শায়িত হন ও বাঘমতির জলে চরণ রাখিয়া পশুপতিনাথের নাম জপ করিতে করিতে দেহত্যাগ করেন। পূর্ব্বে এই স্থানেই সতীদাহ হইত। এখন পশুপতিনাথের মন্দিরের চতুষ্পর্শ্বে ক্ষুদ্র বৃহৎ শত শত মন্দির আছে, বিশ্বরূপের মন্দির, গুহ্যেশ্বরীর মন্দির ইত্যাদি অসংখ্য মন্দির।

 গুহ্যেশ্বরীর মন্দিরে একটী উৎস আছে। সেই উৎসের মুখ স্বর্ণময় আবরণে আবৃত, খুলিয়া হাত দিলেই হস্তে উংসের জল লাগে। গুহেশ্বরীর মন্দিরে সর্ব্বদাই পূজা অর্চ্চনা চলিতেছে। পশুপতির প্রাঙ্গণে সাধু সন্ন্যাসীর অন্ত নাই কোথাও বা শাস্ত্রপাঠ হইতেছে, কোথাও ভজন গীত হইতেছে, কোথাও ঘণ্টাধ্বনি হইতেছে, কেহ বা পুষ্পাঞ্জলি দিতেছে, কেহ বা মস্তকে পবিত্র বারিসিঞ্চন করিতেছে। কেহ বা কপালে টীকা দিতেছে কেহ বা মন্দির প্রদক্ষিণ করিতেছে। দিবারাত্রি যাত্রীসমাগম দিবারাত্রি পূজাঅর্চ্চনা চলিতেছে। এই লোকারণ্যের মধ্যে স্থূলাকার বৃষ মহাশয় সগর্বে বিচরণ করিতেছেন।

 পশুপতিনাথের মন্দিরের অদূরে পর্ব্বতের উপরে মৃগাস্থলী নামক এক রমণীয় বন আছে। সেখানে বানরসকল দলে দলে বিহার করিতেছে। বৌদ্ধযুগে এই পশুপতিনাথের মন্দিরের সন্নিকটে বৌদ্ধবিহার বৌদ্ধমঠ সকল ছিল। এখন আর কিছুই নাই। পশুপতিনাথের নিকট এখন যে সকল পল্লী আছে তাহা অতি কদর্য্য। প্রতি বৎসর শিবরাত্রির সময় পশুপতিনাথের মন্দিরে বিপুল সমারোহ ব্যাপার হইয়া থাকে। সেই সময় প্রায় ২০,০০০ যাত্রী নানা দেশ বিদেশ হইতে পশুপতিনাথকে দর্শন করিবার জন্য আসিয়া থাকে এবং ছয় দিন নেপাল রাজ্যের দ্বার অবারিত থাকে। এই সময় পিপীলিকা শ্রেণীর ন্যায় যাত্রিদল পশুপতিনাথের উদ্দেশে ধাবিত হয় এবং নেপাল উপত্যকায় পদার্পণ করিয়া “জয় পশুপতিনাথ” বলিয়া হুঙ্কার করিয়া উঠে। কি পথক্লেশ স্বীকার করিয়া লোক আসে, ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয়। পশুপতিনাথ হিন্দুদিগের প্রসিদ্ধ তীর্থ। পূর্ব্বেই বলিয়াছি নেপালে প্রায় ২৭৩৩টী দেব মন্দির আছে। ইহার অধিকাংশ বিদেশীরা কখনও দেখিতে পায় নাই।