পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৭৫

পলায়ন করিয়া যায় তোমরা নবাবকে ধর। নবাব জাফরালি খানের লোকে এ সম্বাদ পাবা মাত্রে অনেক মনুষ্য একত্র হইয়া নবাব স্রাজেরদৌলাকে ধরিয়া মুরসদাবাদে আনিলেক॥

 পরে অতি গোপনে নবাব মীর জাফরালি খানের পুত্র মীর মিরণকে সংবাদ দিয়া ইঙ্গরাজের বড় সাহেবকে সংবাদ দিতে যায় তাহাতে মীর মিরণ নিষেধ করিয়া কহিলেন যে আর কাহাকেও এ সমাচার কহিবা না। মীর মিরণ মনোমধ্যে বিবেচনা করিলেন যদি বড় সাহেব এ সংবাদ শ্রবণ করেন তবে স্রাজেরদৌলা কদাচ নষ্ট হইবে না তবে আমারদিগেরও মঙ্গল হওয়া ভার এবং যে২ পাত্রমিত্রগণেরা আছে ইহারা শ্রবণ করিলেও কদাচ নষ্ট করিতে দিবে না বরং নবাব স্রাজেরদৌলাকে নবাবি দেওনের চেষ্টা পাইবেক অতএব নবাব স্রাজেরদৌলাকে এক দণ্ড রাখা নয় ইহাই স্থির করিয়া আপনি খড়্গ হস্তে করিয়া নবাব স্রাজেরদৌলার নিকটে উপনীত হইলেন। নবাব স্রাজেরদৌলা দেখিলেন মিরণ আমাকে ছেদন করিতে আসিতেছে তনি মিরণকে অনেক২ স্তুতি করিলেন। কিন্তু নির্দয় মিরণ কদাচ ক্ষান্ত হইল না। পশ্চাৎ নবাব স্রাজেরদৌলা ঈশ্বরে মনোযোগ করিয়া নিঃশব্দে রহিলেন তখন মিরণ খড়্গতে নবাবকে ছেদন করিয়া পশ্চাৎ প্রচার করিলেক। এই সকল বৃত্তান্ত বড় সাহেব শ্রবণ করিয়া যথেষ্ট খেদ করিলেন এবং পাত্র মিত্রগণ সকলেই মহাব্যথিত হইয়া কাতর হইলেন॥