পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৭১

গ্রামের লোকের উপর কোন সৈন্য দৌরাত্ম্য করিতে না পারে। সাহেব এই রূপে সৈন্য সঙ্গে করিয়া চলিলেন॥

 পরে মুরসদাবাদতক সমাচার হইল যে ইঙ্গরাজ সাহেব নবাবের সহিত রণ করিতে আসিতেছেন এবং নবাব সাহেব পূর্ব্বেই জ্ঞাত ছিলেন বিশেষ জ্ঞাত হইয়া আপন সেনাপতিকে আজ্ঞা করিলেন তুমি পঞ্চাশ হাজার সৈন্য লইয়া পলাশির বাগানে গিয়া প্রস্তুত থাকহ। সাবধানে সমর করিয়া কোন রূপে ইঙ্গরাজ জয়ী হইতে নাপারে বাকি যে সৈন্য এখানে থাকিল তাহা লইয়া আমি পশ্চাৎ গমন করিব কিন্তু ইঙ্গরাজেরা বড় যোদ্ধা এবং অশেষ মন্ত্রণা জানে কোন রূপে ত্রুটি নাহয় সাবধান ২। সেনাপতি মীর জাফরালি খান বিস্ত ২ সাহস দিয়া সৈন্যের সহিত পলাশির বাগানে আসিয়া রণসজ্জা করিয়া আছেন কিন্তু মনোমধ্যে বিচার করিতেছেন কি রূপে ইঙ্গরাজেরা জয়ী হবেন অনেক বিবেচনার পর সৈন্যের মধ্যে প্রধান ২ যে ২ সৈন্য তাহারদিগের সাহিত প্রণয় করিয়া কহিল তোমরা কেহ মনোযোগ করিয়া রণ করিও না যে সেনাপতি সেই যদ্যপি এমন গতি করিতে প্রবর্ত্ত হইল ইহাতেই সকল সৈন্য ঔদাস্য করিয়া অসাবধানে থাকিল॥

 পরে ইঙ্গরাজের যাবদীয় সৈন্য পলাশির বাগানে উপনীত হইয়া সমর আরম্ভ করিল। নবাবি সৈন্য সকল দেখিল যে প্রধান ২ সৈন্যেরা মনোযোগ করিয়া যুদ্ধ করে না এবং ইঙ্গরাজের অগ্নিবৃষ্টিতে শত ২ লোক প্রাণ