পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭

 ভবানন্দ মজুমদার রাজ্য প্রান্ত হইয়া মনের আনন্দে শুভা লগ্নে তরণি যোগে বাটী প্রস্থান করিলেন॥

 ভবানন্দ মজুমদার বাটীর নিকট আসিয়া নিজালয়ে দূত প্রেরণ করিয়া সংবাদ দিয়া পশ্চাৎ আপনি উপস্থিত হইলেন। যাবদীয় লোক শ্রবণ করিলেন যে রায় মজুমদার বাগুয়ান পরগণা জমিদারি করিয়া আসিয়াছেন ইহাতে যাবদীয় মনুষ্য হর্ষ হইয়া ভেটের সামগ্রী লইয়া সাক্ষাৎ করিতে গমন করিলেক সকলের মহা আনন্দ হইল। রায় মজুমদার যে যেমন মনুষ্য তাহাকে তেমনি সমাদর করিয়া শিষ্টাচার করিলেন এবং প্রজারদিগকে যথেষ্ট আশ্বাস করিয়া সকল মনুষ্যকে জমিদারির পত্র দেখাইলেন পশ্চাৎ আত্ম গৃহে গমন করিয়া পুর মধ্যে উত্তম স্থানে কিঞ্চিৎকাল বসিয়া অন্তঃপুরে গমন করিয়া মধুর বাক্যে নিজ পরিবারের তোষ জন্মাইয়া দিব্য আসনে বসিলেন। রায় মজুমদারের পত্নী লক্ষ্মীর আগমনের যাবদীয় বৃত্তান্ত নিবেদন করিলেন। সকল সমাচার জ্ঞাত হইয়া রায় মজুমদার বিবেচনা করিলেন লক্ষ্মীর কৃপায় আমার সকল সম্পত্তি মহানন্দে গাত্রোত্থান করিয়া জাঁপী দর্শন করিয়া প্রণামানন্তর বহু বিধ স্তব করিলেন এবং সহস্র মুদ্রা ব্যায় করিয়া জ্ঞাতি কুতুম্ব নিমন্ত্রণ করিয়া লক্ষ্মীর পূজা করিলেন এবং রাজকীয় ব্যাপার করিতে প্রবর্ত্ত সকল প্রজা মনের হর্ষে রাজ কর যোগাইতে লাগিল। কিছু কালানন্তরে ভবানন্দ রায় মজুমদারের তিন পুত্র হইল জ্যেষ্ঠের নাম রাখিলেন গোপাল

C