পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৩৯

 কালীপ্রসাদ সিংহ মুরসদাবাদে উপস্থিত হইয়া আত্মরাজার এক বাটী ছিল সেই স্থানে থাকিয়া মহারাজ মহেন্দ্রের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া নিবেদন করিলেন আমারদিগের মহারাজাকে নিকট আসিতে আজ্ঞা পত্র গিয়াছিল পত্র পাইয়া মহারাজ অত্যন্ত হৃষ্ট হইয়া আগমনের দিন স্থির করিয়াছিলেন ইতিমধ্যে শারীরিক পীড়া হইয়া অত্যন্ত ক্লিষ্ট হইলেন এ নিমিত্ত আমাকে নিকটে পাঠাইয়াছেন এবং ভেটের কিঞ্চিৎ দ্রব্যও পাঠাইয়াছেন দৃষ্টি করিতে আজ্ঞা হউক। মহারাজ মহেন্দ্র হাস্য করিয়া কহিলেন তুমি অদ্য রজনীতে আসিবে বিশেষ কার্য্য আছে। কালীপ্রসাদ সিংহ নমস্কার করিয়া বিদায় হইয়া স্বস্থানে গেলেন। পরে রজনী যোগে মহারাজার বাটীতে আসিয়া মহারাজ মহেন্দ্রকে সম্বাদ দেয়াইলেন মহারাজ মহেন্দ্র শ্রবণ করিলেন কালীপ্রসাদ সিংহ আসিয়াছেন আর ২ যত মনুষ্য নিকটে ছিল তাহারদিগকে কহিলেন অদ্য তোমরা স্বস্থানে প্রস্থান কর আমার কিঞ্চিৎ বিশেষ কর্ম্ম আছে আর ২ যত লোক সভায় ছিল সকলে বিদায় হইয়া গেল পরে কালীপ্রসাদ সিংহকে আনিতে অনুমতি দিলেন। কালীপ্রসাদ সিংহ আসিয়া নমস্কার করিয়া নিকটে বসিয়া নিবেদন করিলেন কি জন্যে আমার মহারাজাকে আসিতে আজ্ঞা পত্র গিয়াছিল। তাহাতে মহারাজ মহেন্দ্র কহিলেন আমারদিগের দেশাধিকারির প্রকরণ সমস্তই শুনিতেছ এ নবাব থাকিলে কাহারু জাতি প্রাণ থাকিবেক