পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৩৭

অংশে ত্রুটি নাই। যাবদীয় লোক সুখে কাল ক্ষেপণ করিতেছে কিন্তু নবাব স্রাজেরদৌলা অত্যন্ত দূর্বৃত্ত হইয়াছে। মহারাজ চিন্তান্বিত আছেন দেশাধিকারী দুরন্ত কখন কি করে মধ্যে ২ পাণ্ডিতেরদিগের প্রতি আজ্ঞা করেন দেখ দেশাধিকারী অতি দূর্বৃত্ত তোমরা সকলে ঈশ্বরের নিকট আরাধনা কর যেন দুষ্ট আধিকারী এ দেশে না থাকে কিন্তু অতি গোপনে আরাধনা করিবা কদাচ প্রচার না হয়। এই রূপ নিজ রাজ্যে বাস করিতেছেন ইতিমধ্যে মুরসদাবাদ হইতে পত্র লইয়া দূত রাজপুরে উপস্থিত হইল। দ্বারী কহিলেক তুমি কে কোথা হইতে আসিলা। দূত আত্ম পরিচয় দিয়া কহিল তুমি মহারাজাকে সম্বাদ দেহ পরে যেমন আজ্ঞা করিবেন সেই মত কার্য্য করিও। দূতের বাক্যক্রমে দ্বারী মহারাজতক নিবেদন করিল মহারাজ মুরসদাবাদ হইতে পত্র লয়া এক দূত আসিয়াছে। রাজা দ্বারির বাক শ্রবণ করিয়া আজ্ঞা করিলেন দূতকে তোমার নিকট রাখ পত্র আনহ। দ্বারী অতি শীঘ্র গমন করিয়া দূতকে আত্ম স্থানে বসাইয়া পত্র আনিয়া মহারাজকে দিলেক। রাজা সভা ত্যাগ করিয়া গোপনে বসিয়া পত্র পাঠ করিয়া যাবদীয় সম্বাদ জ্ঞাত হইলেন বিস্তারিত সমাচার জ্ঞাত হইয়া হর্ষ বিষাদ দুই হইল হর্ষ হইল যাবদীয় পাত্র মিত্র ও প্রধান ২ মন্ত্রীরা একত্র হইয়াছেন অতএব বুঝি অধিকারের ভাল হইবেক বিষাদ হইল নবাব অতি দুরন্ত যদি এ সকল কথা প্রকাশ হয় তবে জাতি প্রাণ যাইবেক। এই