পাতা:রকম রকম - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রকম রকম
১৩

কলিকাতায় পাঠাইতে হইবে। মনি-অর্ডার বা অপর কোন উপায়ে সেই টাকা কলিকাতায় পাঠাইতে হইলে, কিছু অধিক পরিমাণে অর্থ ব্যয় করিবার প্রয়োজন হইয়া পড়ে; কিন্তু হুণ্ডির দ্বারা পাঠাইতে হইলে ব্যয় অপেক্ষাকৃত অনেক অল্প হয়। এই নিমিত্ত যে দুই হাজার টাকা তাঁহার কলিকাতায় পাঠাইয়া দিবার প্রয়োজন, সেই টাকা লইয়া গিয়া তিনি আপনার এলাহাবাদস্থিত গদিতে জমা করিয়া দিলেন, এবং নিয়মিত কমিশনও প্রদান করিলেন। সেই টাকা গ্রহণ করিয়া, আপনি আপনার কলিকাতার গদির নামে একখানি হুণ্ডি লিখিয়া তাঁহার হস্তে প্রদান করিলেন। আপনি যেমন তাঁহাকে এলাহাবাদে হুণ্ডি প্রদান করিলেন, অমনি আপনি এই সংবাদ আপনার কলিকাতার গদিতে লিখিয়া পাঠাইলেন। এদিকে যাঁহার নিকট টাকা পাঠাইবার প্রয়োজন, তাঁহার নামীয় একখানি পত্রের ভিতর সেই হুণ্ডিখানি তিনি পুরিয়া তাঁহার নামে কলিকাতায় পাঠাইয়া দিলেন। যাঁহার নামে সেই হুণ্ডিখানি আসিল, তিনি সেই হুণ্ডিসহ আপনার কলিকাতার গদিতে গমন করিবামাত্র হুণ্ডির লেখা অনুযায়ী টাকাগুলি তিনি প্রাপ্ত হইলেন। হুণ্ডি সম্বন্ধে আরও অনেক কথা বলিবার আছে; কিন্তু এস্থানে মোটামুটি যাহা বলা হইল, তাহাতেই পাঠকগণ আলোচ্য ঘটনার অবস্থা উত্তমরূপে বুঝিতে পারিবেন।

 যাহা হউক, কিরূপ ভাবে সেই হুণ্ডি সম্বন্ধে নিত্য জুয়াচুরি হইতেছে, তাহাই এখন পাঠকবর্গকে বলিব।

 গোবিন্দচন্দ্র যেরূপ ভাবে জুয়াচুরি করিয়া ডাকপিয়নের যোগে জুয়াচুরি ব্যবসা চালাইয়া আসিতেছিল, বড়বাজারের ভিতর সেই