পাতা:দায়ে খুন - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
দারোগার দপ্তর, ৮৩ সংখ্যা।

আমাদিগকে বলিবে, এবং তাহারই বা প্রকৃত নাম কি, তাহাও বোধ হয়, এখন আর সে গোপন করিবে না।

 আমার কথা শুনিয়া মাণিকচাঁদ কহিল, “মিথ্যা আপনি আমাকে লইয়া পীড়াপীড়ি করিতেছেন। হীরালাল যে কে, তাহা আমি জানি না, বা এই সংবাদ-পত্রে বর্ণিত চুরি বা হত্যার বিষয় আমি কিছুমাত্র অবগত নহি।”

 “অবগত আছ কি না, তাহা পরে জানিতে পারিবে।” এই বলিয়া আমি সেই গৃহের দরজা তালাবদ্ধ করিয়া দিলাম, এবং মাণিকচাঁদ ও দ্বারবানকে লইয়া আমি আমার থানায় গমন করিলাম। থানা হইতে একটী পাহারার বন্দোবস্ত করিয়া পাঠাইয়া দিলাম। যে পর্য্যন্ত সমস্ত গোলযোগ মিটিয়া না গেল, সেই পর্য্যন্ত সেই গৃহের উপর পাহারা রহিল।

 থানায় গিয়া মাণিকচাঁদ ও সেই দ্বারবানকে আবদ্ধ অবস্থায় রাখিলাম, এবং সমস্ত বিষয় সবিশেষরূপে বিবৃত করিয়া বোম্বাইপুলিসের নিকট একখানি জরুরি টেলিগ্রাম পাঠাইয়া দিলাম। পরদিবস সেই টেলিগ্রামের উত্তর আসিল; তাহার সারমর্ম্ম এইরূপ:—

 “আপনার টেলিগ্রাম পাইয়াছি। যে বিষয়ের অনুসন্ধানের নিমিত্ত আমরা এখানে অতিশয় ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছিলাম, এবং কিরূপ উপায়ে হীরালাল বালমুকুন্ পরিচয়ে এই স্থানে কর্ম্ম করিতে প্রবৃত্ত হয়, তাহার কিছুই এ পর্যন্ত ঠিক করিয়া উঠিতে পারিতেছিলাম না। আপনা-কর্ত্তৃক তাহার সমস্তই প্রকাশিত হইয়া পড়িয়াছে, এবং আপনি হীরালালের সহায়তা-কারীগণকে ধৃত করিয়া আমাদিগের যে কি উপকার করিয়াছেন, তাহা বলিতে