পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: G o শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত । বহুদিন বিশ্বনাথ হ’ল দেশান্তরী । শুনিয়াছি বৃন্দাবনে হ’য়েছে ভিখারী ॥ বিশ্বনাথ নিকটে কহেন হরিচাদ ওরে বিশে আমার হয়েছে এক সাধ ॥ বসিয়া বসিয়া বৃথা গহ হ’ল কাল । আয় মোর একদিন চাষ করি হাল ॥ সৰ্ব্বকাৰ্য্য হতে শ্রেষ্ঠ কৃষিকাৰ্য হয়। এ কার্য্য না করা আমাদের ভাল নয় ॥ এক দিন হাল ধরি আর না ধরিব। বলরাম ভক্ত মোরা আজ হতে হ’ব। বিশ্বনাথ বলে প্ৰভু যে ইচ্ছা তোমার। । হ’ল ধর হ’য়ে অদ্য শোধিত কড়ার ॥ হালুয়ার। হাল ধরে হাসি কয় কথা । ভাল হ'ল অদ্য পাব লাঙ্গলের গাত৷ প্রভু বলে পাব হাল মোরা গিয়া লই। আ'জ মোরা সবে গিয়া হলধর হই। একবার হয়েছিল্প তৈলের দোকানী-L–1 হাল ধরা চাষ করা মোরা নহে জানি ॥ সৰ্ব্ব কৰ্ম্ম কর। ভাল গৃহীজন পক্ষে । গৃহস্থের করা ভাল সৰ্ব্ব কাৰ্য্য শিক্ষে । মোরা যে যোগাল দেই তোরা নিস হাল । মোরা আজ হাল ধরি তোরা যে যোগাল ॥ এত বলি মহাপ্রভু নিজে হাল নিল। বিশ্বনাথ এক হাল স্বন্ধেতে করিল। গোগৃহের গরু যত বাহির করিয়া। ধেনু বৎস্য বলদ লইল চালাইয়া ॥ একবাদ জমি দুই বিঘা পরিমাণ । বহুদিন সে জমিতে নাহি হয় ধান ॥ সব জমি মধ্য হ’তে লোণ উথলিয়া । বুনাইলে ধান্ত যায় করা’টে হইয়া ॥ চারি বর্ষ সে জমিতে হাল চাষে নাই । সেই জমি চাষ কৰ্ত্তে লাগিল গোঁসাই। লোকে বলে এ জমিতে ধান্য নাহি ফলে । বৃথা পরিশ্রম প্রভু কর বা কি বলে। । এত শুনি হাসি মুখে কহেন গোসাই। অফলা জমিতে আমি সুফল ফলাই ৷ যশোমন্ত পুত্র আমি নাম হরিচাদ । ত্রবার করিব যত পতিত আবাদ । এদেশে আবাদী তোরা চিনিলি না কেহ । মাট যে অফলা থাকে এ বড় সন্দেহ ॥ - পতিত আবাদ জন্ত আশ। এ দেশেতে । কি ফল ফলিবে টের পাবি ভবিষ্যতে ॥ । খাটি মাটি হ’লে ফল নাহয় বিফল । ভক্তি করে ডাকে তারে দেই প্রেমফল ৷ যে ফল চাৰ্ছিবি তোর সে ফল পাইবি । কল্প-বৃক্ষমূলে যদি প্রার্থনা করিবি ৷ সফল নগরী রই যে চাহে যে ফল । বিফল না হয় ফল সে পায় সে ফল । বীজ আন বুন ধান ফল পাবি শেষে । । ধান্ত সতী তার পতি আছে এই দেশে ॥ " যেদিন করিল চাষ সেদিন বুনিল । বুনাইয়া পুন চাষ আরস্ত করিল ॥ " এমন সময় হ’ল মেঘের লক্ষণ । ঘন ঘন ঘন করে ভীষণ গৰ্জ্জন ॥ উত্তরে যাইয়া মেধ বেগ বহে বীতে। ' ঘোর অন্ধকার নিশি হইল দিবাতে । "চিকি চিকি তড়িৎ তাহাতে অালোময় । বিদ্যুৎজ্যোতি ঠাকুরের অঙ্গে লীন হয় ॥১ প্রভুর অঙ্গেতে জ্যোতি এক একবার । মাঝে মাঝে ঝলসিছে বিদ্যুৎ আকার ॥ বরষণ ঘন ঘন হয় বহু বহু । শীলাপাত বজ্রাঘাত হয় মুহুমুছ। চতুর্দিকে হয় বৃষ্টি ঠাকুর যে ভূমে । একবিন্দু পাত নাহি হয় কোন ক্রমে ॥ ভাদ্রমাসে স্রোত যেন মহাবেগে ধায় ॥ তেমতি বৃষ্টির ধার। পতিত ধুবুঞ্জ | চতুর্দিকে বৃষ্টিজলে স্রোত বহি যায় । প্রভু যে জমিতে জল নাহি প্রবেশয় ॥ সে ভূমি হইতে উচ্চ বিঘত প্রমাণ। বহে জল ঠাকুরের ভূমিতে না জান ॥ হাল উঠাইল যবে চাষ হ’ল পার। তখন জমিতে বহে বিন্দু বিন্দু ধারা । বীজ বপনের হ’ল সুযোগ তাহাতে. ধাঙ্গন্ধর উপজিল সপ্তম দিনেতে । এমতে হইল সব চারার পত্তন। রহে পরিষ্কার ভূমি ন হইল বন ॥ আউস হইল আর হইল আমান্ত । দুই বিঘা জমিতে দ্বিগুণ হৈল ধান্ত ॥ - প্রশস্ত গ্রার্হস্থ্য ধৰ্ম্ম জীবে_শিক্ষা দিতে ' ইরিচাঁদ অবতীর্ণ হল অবনীত্যে ~