পরদিবস বেলা নয়টা-দশটার সময় সেই বাড়ী পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া যান।
পানওয়ালার নিকট হইতে এই বিষয় অবগত হইয়া, সেইদিবস আমি সেইস্থান পরিত্যাগ করিলাম। পরদিবস দিবাভাগে আমি সেই বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিলাম। দেখিলাম, হরিনাম্নী একটী স্ত্রীলােক বাস্তবিকই সেই বাড়ীর ভিতর একখানি ঘরে বাস করে। হরির ঘরের পার্শ্ববর্ত্তী ঘরে সাগরনাম্নী অপর আর একটী স্ত্রীলােকের ঘর।
অনুসন্ধানােপলক্ষে অনেক সময় আমি দেখিতেছি, যে কার্য্যে সফলতা-লাভের উপক্রম হয়, তাহার অনুকূল উপায় দেখিতে দেখিতে আপনি জুটিয়া যায়। সাগরের ঘরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিবামাত্র দেখিতে পাইলাম, সেই ঘরে আমার বিশেষ পরিচিত বিনােদ নামধেয় একটী যুবক বসিয়া আছে। আমাকে দেখিবামাত্র বিনােদ যেন একটু লজ্জিত হইয়া, ঘাড় হেঁট করিয়া সরিয়া বসিল। বিনােদের ভাবগতি দেখিয়া আমি বেশ বুঝিতে পারিলাম, সাগরের ঘরে বিনােদের যাওয়া আসা আছে। আমি কিন্তু বিনােদের অবস্থা দেখিয়াও দেখিলাম না। একেবারে সেই ঘরের ভিতর প্রবেশ করিয়া, বিনােদের নিকট উপবেশন করিলাম ও কহিলাম, “বিনােদ বাবু! তােমার অনুসন্ধানের নিমিত্তই আমি এইস্থানে আসিয়াছি।”
“কেন মহাশয় আমার অনুসন্ধান করিতেছেন?”
“বিশেষ প্রয়ােজন আছে বলিয়াই তোমাকে খুঁজিতেছি।” এই বলিয়া সেইস্থান হইতে উঠিলাম, এবং বিনােদকে সঙ্গে