পাতা:ডিটেক্‌টিভ পুলিস (প্রথম কাণ্ড) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৬
ডিটেক্‌টিভ পুলিস, ১ম কাণ্ড।

সর্ব্বদাই “টাকা, টাকা টাকা, টাকা” শব্দ করিয়া রাত্রিদিন অতিবাহিত করিতে লাগিলেন। কয়েক দিবসের মধ্যে তাঁহার এই প্রকার অবস্থা দেখিয়া, আমরা সকলেই স্থির করিলাম যে, উহার মস্তিষ্ক বিকৃত হইয়া গিয়াছে। এই সময় যদি ইহার উপযুক্তরূপ চিকিৎসা না হয়, তাহা হইলে ইনি একেবারে বদ্ধপাগল হইয়া যাইবেন; এই ভাবিয়া চিকিৎসার নিমিত্ত অবিলম্বেই ডাক্তারকে আমরা পাগলা হাঁসপাতালে প্রেরণ করিলাম। তাহার পর যে কি হইয়াছে, তাহা আর আমরা অবগত নহি।”

 জেলের প্রধান কর্ম্মচারীর নিকট এই সকল অবগত হইয়া পরিশেষে পাগলা হাসপাতালে গিয়া, একটু অনুসন্ধান করা কর্ত্তব্য বিবেচনা করিলাম। হরিণবাড়ী জেল হইতে পাগলা হাঁসপাতাল বহুদূর নহে, সুতরাং জেল হইতে বহির্গত হইয়া সেইস্থানে গমন করিলাম। সেইস্থানে জিজ্ঞাসা করায় তথাকার একজন ডাক্তার কহিলেন, “ডাক্তার বাবু পাগল হইয়া, হাসপাতালে আসিবার পরই ক্রমে তাহার পাগলামী সারিতে লাগিল। ইহার অবস্থা দেখিয়া হাঁসপাতালের প্রধান ডাক্তার কহিলেন, ‘অপরাপর পাগল অপেক্ষা ইহার অবস্থা অন্য প্রকার। ইহাকে যদি আবদ্ধ করিয়া রাখা যায়, তাহা হইলে ইহার পাগলামী ভাল হওয়া দুরে থাকুক, ক্রমে আরও বর্দ্ধিত হইতে থাকিবে। আমার বিবেচনায় ইহাকে স্বাধীনতা দিয়া ছাড়িয়া দিলে শীঘ্র ইহার পাগলামী ভাল হইবার সম্ভাবনা।’ পরে দেখিলাম, এক এক করিয়া হাঁসপাতালের ডাক্তারগণ, মেম্বরগণ, সকলেই ডাক্তার সাহেবের মতে মত