পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন বীমা।
১৫

থাকে। যে ব্যক্তি উহা খরিদ করেন, তাঁহাকে ঐ বীমার নিয়মিত চাদা যত দিবস পর্যন্ত যাহার জীবন বীমা আছে, বা যত দিবস তিনি জীবিত থাকেন, তত দিবস তাহাকে অর্থাৎ জীবন-বীমা-খরিদকারীকে জমা দিয়া আসিতে হয়। বীমার সময় উত্তীর্ণ হইলে অথবা বিমাকারীর মৃত্যু হইলে ঐ বীমা অনুযায়ী সমস্ত টাকা যিনি উহা খরিদ করিয়াছেন, তিনি উহা প্রাপ্ত হন।

 পাঠকগণের মধ্যে অনেকে জিজ্ঞাসা করিতে পারেন যে, অরের জীবন বীমা খরিদ করিয়া লাভ কি? উত্তরে ইহা অনায়াসেই বলা যাইতে পারে যে, এরূপ খরিদ বিক্রয় একটা ব্যবসা। ইহাতে সময় সময় লাভালাভও অনেক হইয়া থাকে। মনে করুন, দশ হাজার টাকায় একজনের জীবন বীমা আমি খরিদ করিলাম। খরিদ করিবার অল্প দিন পরেই বীমাকারীর মৃত্যু হইল। মৃত্যুর পর ঐ দশ হাজার টাকা আমি অনায়াসে প্রাপ্ত হইলাম। মনুষ্যের মৃত্যু অনিবার্য; তবে সময়ের কিছুমাত্র স্থিরতা নাই। সুতরাং ইহাও একটা প্রধান ব্যবসায়। সকল ব্যবসাতেই লাভ ও লোকসান আছে। লাভ ও লোকসান আছে বলিয়াই, ব্যবসা কার্য্য চলিয়া থাকে, ইহাও তাহাই। যাহাদিগের জীবন বীমা খরিদ করাই ব্যবসা, তাঁহারা সময় সময় (যেখানে বীমাকারীর অল্প পরমায়ু বিস্তার লাভ করিয়া থাকেন। আর যে সকল বীমাকারী দীর্ঘায়ু, তাহাদিগের জীবন বীমা খরিদ করিয়াও যে তিনি একেবারে লোকসান দিয়া থাকেন, তাহা নহে। পূর্বে বলিয়াছি যে, মনুষ্যজীবন চিরস্থায়ী নহে; এক দিবস তাহাকে নিশ্চয়ই মরিতে হইবে, তাহার মৃত্যুর পর তাহার জীবনবীমার টাকা আদায় হইয়া আসিবে। যিনি জীবনবীমা খরিদ করিলেন, তিনি সেই সময়