পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
দারােগার দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা।

জীবিত থাকেন ভালই, নচেৎ তাহার উত্তরাধিকারীগণ যদি ঐ ব্যবসা চালান, তাহা হইলে তাহারা নিশ্চয়ই ঐ টাকা প্রাপ্ত হইবেন, সুতরাং এ ব্যবসায় লোকসান প্রায়ই হয় না।

 জীবন বীমা করিলে বা ঐ জীবনবীমা খরিদ করিলে যে একেবারে কখনও লোকসান হয় না তাহাও নহে। যাহারা অন্ধপ্রতিষ্ঠ ও উত্তম অফিসে জীবন বীমা করিয়া থাকেন, তাহাদিগকে কোনরূপে বঞ্চিত হইতে হয় না। কিন্তু এরূপ বীমা অফিসও দেখিতে পাওয়া যায় যে, টাকা প্রদান করিবার সময় উপস্থিত হইলে, কোন না কোন অপত্য উত্থাপন করিয়া যাহাতে ঐ টাকা প্রদান করিতে না হয়, প্রাণপণে তাহার চেষ্টা করিতেও এটা করেন না।

 যে সকল ব্যবসায়ে লাভালাভ আছে, সেই সকল কার্য্যে জুয়াচুরিও অনেক সময় হইয়া থাকে। বীমা অফিস খুলিয়া যাহারা বিস্তার লাভ করিয়া থাকেন, সময় সময় জুয়াচোরের হস্তে পড়িয়াও তাহাদিগকে বিস্তর ক্ষতি সহ করিতে হয়।



চতুর্থ পরিচ্ছেদ।

 অফিসের কাগজ পত্র দেখিয়া জানিতে পারিলাম, হরেকৃষ্ণ নামক এক ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন বীমা অফিসে এক মাসের মধ্যে তাহার জীবন ত্রিশ সহস্র মুদ্রায় বীমা করিয়াছে। বীমা করিবার পর নিয়মিত চাঁদার টাকা এক মাস প্রদান করিয়াছে, উহার পরেই