পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
দারকা দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা।

বিপদাপন্ন হইয়া তাহার শরণাগত হইলে, যেরূপে হউক, তিনি তাহার মতামত তাহার সাহায্য করিতে ক্রটী করেন না। ঐ স্থানের অধিকাংশ লোকই তাহার বশীভূত ও অনুগত। যে গ্রামে তাহার বাড়ী, সেই গ্রামে তাঁহারই সমতুল্য আরও একজন জমিদর আছেন। তিনিও তাঁহার মত ব্যবসা করিয়া থাকেন। কিন্তু তাহার সহিত ব্রজবন্ধু বাবুর বনিবনা নাই। উভয়ে উভয়ের শত্রু। পরস্পর পরস্পরকে বিপদে ফেলিতে কোনরূপ ক্রুটী করেন না। উভয়ের মধ্যে কেন যে এরূপ মনোমালিন্য, তাহার কারণ গ্রামের কেহই বলিতে পারে না, কিন্তু সকলেই জানে—উভয়ে উভয়ের পরম শত্রু!

 ব্রজবন্ধু বাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া, যে নিমিত্ত আমি সেই স্থানে গিয়াছি, তাহা তাঁহাকে কহিলাম ও ঐ সম্বন্ধে তাহার সহিত অনেক কথাবার্তাও হইল; কিন্তু তাহার কথাবার্তা শুনিয়া আমি কোনমতেই বিশ্বাস করিতে পারিলাম না যে, এই কার্যের ভিতর কোনরূপ জুয়াচুরি আছে। আমি মনে করিয়াছিলাম, ব্রজবন্ধু বাবুর মনে যদি কোনরূপ পাপ থাকে, তাহা হইলে আমার সহিত ঐ সম্বন্ধে কথাবার্তা হইবার সময় তাহার ভাব-ভঙ্গি অবলোকন করিয়া, তাঁহার মুখশ্রী পর্যালোচনা করিয়া অনায়াসেই বুঝিতে পারি যে, ব্রজবন্ধু বাবুর অন্তর পাপে পূর্ণ কি না। কিন্তু তাহার সহিত ঐ সম্বন্ধে যতই আমার কথা হইল, ততই তাহাকে নিস্পাপী বলিয়া অনুমান হইতে লাগিল। আঁহার কথায় কোনরূপ সন্দেহ বা মুখ শ্রীর কোনরূপ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হইল না। অধিকন্তু কাগজপত্র যাহা কিছু জানিতে পারিয়াছিলাম, তাহার সমস্ত কথাই যে তিনি এক এক করিয়া প্রমাণ করাইতে