পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
দারোগার দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা।

আর বলেন ত আমি আপনাঞ্চসহিত যাইয়া তাহাদিগকে দেখাইয়া দিই। আপনি নিশ্চয়ই জানিকে, আর এ কার্য্যের ভিতর কোনরূপ প্রতারণা নাই, আমার নিতান্ত সৌভাগ্য যে, আপনার হস্তে ইহার তদন্তের ভার অর্পিত হইয়াছে। কারণ অনুসন্ধানে আপনি জানিতে পারিবেন, ইহা প্রতারণাই কারবার, সুতরাং আমার টাকা পাইতে আর অধিক বিলম্ব হইবে না।

 আমি। ইহার ভিতর যদি কোনরূপ প্রতারণা না থাকে, তাহা হইলে বীমা অফিস আপাকে টাকা দিতে গােলযোগ করিতেছে কেন?

 ব্রজ। অনেক বীমা অফিস ন্যায্য টাকা দিবার সময় নানারূপ গোলযোগ উত্থাপিত করিয়া যাহাতে ঐ টাকা প্রদান না করিতে কয়, তাহার চেষ্টা করিতে ত্রুটী করে না। যাহার টাকা এইরূপে ঐ সকল অফিসে প্রাপ্য হয়, তিনি যদি দুর্বল হয়েন, তাহার যদি সেরূপ অভিভাবক না থাকে, তাহা হইলে তিনি প্রায় ঐ অর্থে বঞ্চিত হন। এই জন্যই অর্থ প্রদান করিবার সময় উহারা নানারূপ গোলযোগ উঠাইয়া থাকে।

 আমি। যদি আপনার টাকা ন্যায্য প্রাপ্য হয়, তাহা হইলে এইরূপ গােলযোগ উঠাইয়া উহারা আপনার কোনরূপ ক্ষতি করিতে পারিবে না, ইহা আপনি নিশ্চয়ই জানিবেন; কিন্তু ইহার ভিতর যদি কোনরূপ জুয়াচুরি থাকে, তাহা হইলে ইহাও আপনি নিশ্চয় জানিবেন যে, ঐ জুয়াচুরিকার্যের নিমিত্ত আপনাকে শ্রীঘরে বাস করিতে হইবে।

 ব্রজ। আমার এই কার্যে যদি কোনরূপ জুয়াচুরি প্রকাশ পায়, তাহা হইলে আপনি নিশ্চয়ই জানিবেন যে, জেলে