পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
দারোগার দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা।

চলিয়া গিয়াছেন। ঐ স্থানে ও উহার নিকটবর্তী স্থানে আমরা কৃষ্ণরামের বিশেষরূপে অনুসন্ধান করিলাম, কিন্তু তাহাকে কোথাও পাইলাম না।

 তাহার জামাতা যে আবাদে কার্য্য করিত, পরিশেষে আমরা সেই স্থানে গমন করিলাম। ঐ স্থান পূর্ব বর্ণিত আবাদ হইতে প্রায় ৩০ ক্রোশ ব্যবধান। ঐ স্থানে গিয়া তাহার জামাতাকেও পাইলাম না; তিনিও ঐ সময় হইতে ঐ স্থান পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছেন, কিন্তু কোথায় যে গিয়াছেন, তাহা কেহই বলিতে পারিল না। সুতরাং তথা হইতে আমরা ক্ষুন্নমনে প্রত্যাগমন করিলাম।


অষ্টম পরিচ্ছেদ।


 ঐ স্থান হইতে প্রত্যাগমন করিয়া সেই জমিদার মহাশয়ের সহিত পুনরায় সাক্ষাৎ করিলাম। তিনি আমার নিকট হইতে সমস্ত অবস্থা অবগত হইয়া কহিলেন, আপনি যে বিষয়ের অনুসন্ধান করিতেছেন, সে সম্বন্ধে আপনাকে আর কোনরূপ চিন্তা করিতে হইবেক না। ব্রজবন্ধু কৃষ্ণরামের সাহায্যে যে এই ভয়ানক জুয়াচুরি করিয়াছে, সে বিষয়ে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। আর আপনারা যে কৃষ্ণরামকে হরেকৃষ্ণ স্থির করিয়া তাহার অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, তাহা ব্রজবন্ধু জানিতে পারিয়া, কৃষ্ণরামকে স্থানান্তরে প্রেরণ করিয়াছেন। কৃষ্ণরাম একাকী কোন