পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
দারােগার দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা।

কথা শুনিয়াও তিনি স্পষ্ট কোন কথা কহিলেন না, কখন একেবারে অস্বীকার করিলেন, কখন বা ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন, কিন্তু সমস্ত দিবসের মধ্যে তাহার নিকট হইতে স্পষ্ট কোন কথা প্রাপ্ত হইলাম না।

 যে সময় প্রকাশ হইয়া পড়িয়াছিল যে, কৃষ্ণরাম এই জুয়াচুরির প্রধান অভিনেতা ও তিনি পলায়ন করিয়া কোন স্থানে লুকাইয়া আছে, সেই সময় তাহাকে ধরাইয়া দিবার নিমিত্ত বীমা অফিস এক সহস্র মুদ্রা পারিতোষিক প্রদান করিতে সম্মত হইয়া আমাদিগের সর্ব প্রধান কর্মচারীকে পত্র লিখিয়াছিলেন। তিনি ঐ মর্ম্মে এক বিজ্ঞাপন বাহির করিয়া দেন। যখন দেখিলাম, জামাতাকে কোনরূপেই হস্তগত করিতে পারিলাম না, তখন তাহাকে ঐ সহস্র মুদ্রার লোভ প্রদর্শন করিলাম ও কহিলাম, কৃষ্ণরাম পলায়ন করিয়া যে স্থানেই থাকুক না কেন, তিনি নিশ্চয়ই ধৃত হইবেন ও উপযুক্ত দণ্ডও প্রাপ্ত হইবেন। কিন্তু লাভের মধ্যে এই হইবে যে, কৃষ্ণরামকে পলায়ন করিবার সহায়তা করা অপরাধে তোমার উপরও এই মোকদ্দমা রুজু হইবে, ও যে যে স্থানে তুমি তাহার সহিত অবস্থিতি করিয়াছিলে, সেই সেই স্থানের সাক্ষ্য দ্বারা অনায়াসেই প্রমাণ করিতে পারি যে, তুমি তাহার সহিত স্থানে স্থানে গুপ্তভাবে বাস করিয়াছ ওতাহাকে গুপ্তভাবে রাখিবার চেষ্টা করিয়াছ; সুতরাং তুমিও নিষ্কৃতি পাইবে না। কিন্তু তুমি অবগত আছ যে, যে ব্যক্তি কৃষ্ণরামকে ধরাইয়া দিবে, সেই ব্যক্তি সহস্র মুদ্রা পারিতোষিক প্রাপ্ত হইবে। যখন তুমি জানিতে পারিতেছ যে, কৃষ্ণরাম ধৃত হইতে বাকী থাকিবে না, তখন হেলায় ঐ সহস্র মুদ্রা পরিত্যাগ করা তোমার