পাতা:অদ্ভুত ফকির - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
দারোগার দপ্তর, ১৯৫ সংখ্যা।

ও মুখের ভাব পরিবর্ত্তন করা বিশেষ গুরুতর বা কঠিন কার্য্য নহে। এখন যদি আমার অনুমান সত্য হয়, তাহা হইলে হরশঙ্করকে কে হত্যা করিল? হরশঙ্করকে এই পৃথিবী হইতে সরাইয়া কাহার অভিপ্রায় সিদ্ধ হইল?”

 আমার কথা শুনিয়া আবদুল বলিয়া উঠিল, “কিন্তু গৌরীশঙ্করকে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষী বলিয়া বোধ হয়। হরশঙ্কর গৌশঙ্করেরই শত্রু, সেই উহাকে হত্যা করিতে পারিত কিন্তু যতদুর আমি জানিতে পারিয়াছি, তাহাতে গৌরীশঙ্করকে সম্পূর্ণ নির্দ্দোষী বলিয়াই বোধ হইতেছে।”

 বাধা দিয়া আমি বলিলাম, “আমারও মত সেইরূপ। গৌরীশঙ্কর যে হরশঙ্করকে হত্যা করে নাই, তাহা আমি পূর্ব্ব হইতেই জানিতে পারিয়াছি।”

 গৌরীশঙ্কর আমার শেষ কথা শুনিয়া বিশেষ আনন্দিত হইলেন। বলিলেন, “হুজুর একজন বিশেষ বিচক্ষণ ব্যক্তি। ইনি যাহা অনুমান করিয়াছেন, তাহা সম্পূর্ণ সত্য।”

 আমি তখন গম্ভীর ভাবে হেডকনষ্টেবলের দিকে ফিরিয়া বলিলাম, “খাঁ সাহেব। এখনই এই হরশঙ্করকে গ্রেপ্তার কর। এই হরশঙ্করই গৌরীশঙ্করকে হত্যা করিয়াছে। এতক্ষণ যাহাকে আমরা গৌরীশঙ্কর বলিয়া ভাবিয়াছিলাম, তিনি বাস্তবিক গৌরীশঙ্কর নহেন—হরশঙ্কর। ফকিরকে হত্যা করে নাই, ফকিরই গৌরীশঙ্করকে হত্যা করিয়াছে। এই হরশঙ্করকে এখনই গ্রেপ্তার কর।”

 হৱশঙ্কর আমার কথায় আমাকে আক্রমণ করিতে চেষ্টা করিতেছিল, কিন্তু আমি পুর্ব্ব হইতেই সাবধান ছিলাম। যেমন