পাতা:বাঁশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারোগার দপ্তর, ১৬৬ সংখ্যা।

 দেখা হইবামাত্র আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “মহাশয়ের কোথা হইতে আসা হইতেছে?”

 তিনি অতি বিমর্ষভাবে উত্তর করিলেন, “আমি বালিগঞ্জ হইতে আসিতেছি। আমার নাম অমরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। বড় বিপদে পড়িয়াই এই অসময়ে আপনার নিকট আসিয়াছি।”

 বিখ্যাত জমীদার অমরেন্দ্রকে চিনে না এমন লোক কলিকাতায় অতি কম। আমিও অনেকবার তাহার নাম শুনিয়াছিলাম, কিন্তু এ পর্য্যন্ত দেখা করিবার সুবিধা হয় নাই।

 আমি কোন উত্তর না করিয়া, তাঁহার মুখের দিকে চাহিয়া আছি দেখিয়া, তিনি বলিলেন, “আমার পরিচিত দুই একটী বড় লোকের বাড়ীতে আপনি যেরূপ সুখ্যাতির কার্য্য করিয়াছেন, তাহাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনার দ্বারাই আমার যথেষ্ট উপকার হইবে।”

 আমি হাসিয়া উত্তর করিলাম, “অনুমতি করুন, আমি কিরূপে আপনার উপকার করিতে পারি। কি হইয়াছে বলুন, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করিব।” অমরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “চক্রবেড়ের বিখ্যাত জমীদার প্রাণকৃষ্ণ বাড়ুয্যের ভ্রাতুষ্পত্রীর সহিত আমার পুত্রের বিবাহ স্থির হইয়া গিয়াছে। গত কল্য আয়ুবৃদ্ধান্ন উপলক্ষে আমরা চক্রবেড়ে গিয়াছিলাম। জমীদারের বাড়ীতে বিবাহ; ছোট বড় অনেক লোকের সমাগম হইয়াছিল। সকলের আহারাদি শেষ না হইলে আমার ফিরিয়া আসা ভাল দেখায় না মনে করিয়া, আমাকে কাল চক্রবেড়েই থাকিতে হইয়াছিল। আমাদের বাড়ীর আর সকলে কলিকাতায় ফিরিয়াছিল। প্রাণকৃষ্ণবাবুর পরিবারের মধ্যে তাঁহা